গণবাণী ডট কম:
দেশে নতুন করে আরো পাঁচজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ জন। তবে আশার কথা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি এবং মোট ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন।
বৃহস্পতিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই পুরুষ। এদের দুজনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, দুজন ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে, একজন ষাটোর্ধ্ব। তাদের মধ্যে একজন বিদেশ ফেরত। তিনজন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিল। একজনের আক্রান্তের কারণ জানা যায়নি। তার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া আক্রান্ত ৪৪ জনের মধ্যে ১১ জন সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। এরপর ১৮ই মার্চ প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর। করোনা সনাক্তের পর থেকে দেশে ২৬শে মার্চ পর্যন্ত সর্বমোট ৯২০ জনের নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে।
বুধবার প্রথমবারের মতো আইইডিসিআর জানায় যে, ঢাকায় সীমিত আকারে কম্যুনিটি সংক্রমণ হচ্ছে বলে তারা সন্দেহ করছে।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এতোদিন শুধু বিদেশ থেকে যারা আসছিলেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল, তবে এখন থেকে তারা আরো বিস্তৃত উপায়ে নমুনা সংগ্রহ করা শুরু করবেন। আইইডিসিআর ছাড়াও পরীক্ষা প্রসারিত করা হয়েছে বলে জানান সেব্রিনা ফ্লোরা।
“একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও চট্টগ্রামের বিআইটিআইতে এই কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই।”
তিনি আরো জানান, মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর ছাড়া জেলা পর্যায়ে হটলাইন নম্বর দেয়া হচ্ছে। এর আগে বিদেশ থেকে এসেছেন এমন মানুষের সংস্পর্শে ছিলেন এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন এমন মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করছিল সংস্থাটি। এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে, এখন সময় কমানোর লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের টিম হাসপাতালে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসতো এখন হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাবে।”
করোনাভাইরাসের পরীক্ষার কেন্দ্র আরো বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালসহ ঢাকার বাইরের কয়েকটি হাসপাতালে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আইইডিসিআরের যোগাযোগের জন্য ০১৯৪৪৩৩৩২২২ অথবা ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এখান থেকে হান্টিং নম্বরের মাধ্যমে অন্যান্য নম্বরে টেলিফোনটি চলে যাবে। এছাড়া ১৬২৬৩ নম্বরেও যোগাযোগ করা যাবে। তিনি আবারো স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়গুলো মেনে চলার অনুরোধ করেন।