গণবাণী ডট কম:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৭ জনে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৭ হাজার ৬৮ জন। করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশটি প্রথমে। আর মৃত্যুর দিক দিয়েও দেশটি চীনকে ছাড়িয়ে গেলো।
এমনি পরিস্থিতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনালড ট্রাম্প নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেনে, আসন্ন ‘খুবই বেদনাদায়ক’ সপ্তাহের জন্য প্রস্তুত হতে। হোয়াইট হাউজে দেয়া বক্তব্যে করোনাভাইরাস মহামারিকে তিনি ‘একটি প্লেগ’ বলে বর্ণনা করেন।
দেশটিতে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আসন্ন কয়েক সপ্তাহে দেশটিতে আড়াই লাখ মৃত্যু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমন সময় এসব কথা বলছিলেন মি. ট্রাম্প যখন দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৩,৮৭০ জন, যা প্রাদুর্ভাবের প্রথম কেন্দ্র চীনে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যার চেয়ে বেশি। এরকম পরিস্থিতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন আর কোনো ‘সুগার কোটেড’ বা তিক্ত কথায় মিষ্টির প্রলেপ দিতে চাইছেন না বলে মনে করছেন বিবিসির বিশ্লেষকরা।
ফলে তিনি ঈষ্টারের উৎসবের এই মৌসুমে কোন মিরকলের কথা বলছেন না, যার মাধ্যমে কোন এক ঐশী ক্ষমতাবলে ভালো হয়ে যাবে করোনাভাইরাস মহামারি, আর ব্যবসা বাণিজ্যও খুলে দেয়া যাবে, বলছেন বিবিসির অ্যান্থনি জারকার।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, “আসন্ন দুটি সপ্তাহ হতে যাচ্ছে খুব, খুবই বেদনাদায়ক”।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৮১ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে অবরোধ পরিস্থিতির ওপর আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে, যার ফলে প্রতি চারজন নাগরিকের তিনজনই একরকম লকডাউন পরিস্থিতিতে থাকবেন। খবর : বিবিসি ও অন্যান্য।