গণবাণী ডট কম:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরো দুইজন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৮জনে। একই সময়ে দেশে ৫৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নতুন করে আরো ৯জন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চারজনসহ ইতিমধ্যে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৩০ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৩২ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় এবারই প্রথম সবচেয়ে বেশী মানুষের মৃত্যু হলো এবং সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হলো।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) ডা: হাবিবুর রহমান।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন আগে থেকে আক্রান্ত ছিলেন, আরেকজন নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ছিলেন। একজনের বয়স ৯০ বছর এবং আরেকজনের ৬৮ বছর। একজন ঢাকার, আরেকজন ঢাকার বাইরের। একজন হৃদরোগী ছিলেন, আরেকজনের স্ট্রোক করার ইতিহাস ছিল।
পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ফলাফল তুলে ধরে জানান, ‘নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন পূর্বে সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বা পূর্বে সংক্রমিতদের পরিবারের সদস্য। দুইজন বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।” ”বাকি দুইজনের ব্যাপারে এখনো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’ এদের মধ্যে দুইটি শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ১০ বছরের নীচে। তিনজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে,একজনের বয়স ৬০ থেকে ৭০, আরেকজনের বয়স ৯০ বছর।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বর্তমানে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২জন। অপর ২০জন হাসপাতালে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আইইডিসিআর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মিলে এই নমুনা সংগ্রহ করেছে।
একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে বলে অবশ্যই আমরা বলতে পারি। কিন্তু সেটা এখনো সীমিত আকারে, ক্লাস্টার আকারে রয়েছে। তবে আমরা আমাদের পরীক্ষার সংখ্যা আরো বাড়িয়ে দেবো।”
আইইডিসিআর গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায়। এরপর গত ১৮ই মার্চ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় সংস্থাটি।