গণবাণী ডট কম:
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে ঘরে অবস্থান করা পাঁচটি অসহায় পরিবার সরকারের হেলপ্লাইন ৩৩৩ এবং ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ঘরে বসেই খাদ্য সহায়তা পেলেন। পরিবারগুলোর অসহায় অবস্থার খবর জানতে পেরে রবিবার রাতে তাদের ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল জাকি ।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকি আব্দুল্লাহ জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার নির্দেশিত ঘরে থাকা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সারাদিন দায়িত্ব পালন করেন। রাতে বাসায় ফেরার পর গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম তাকে জানান, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী এলাকায় কয়েকটি পরিবার খাদ্য সংকটে রয়েছে। একই সময়ে সরকারের হেলপ্লাইন থেকে নাম্বার সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সরাসরি ফোন করে কয়েকটি পরিবার খাদ্য সংকটের কথা জানায়। এই তথ্য জানার পর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলামের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সরকারের খাদ্য সহায়তা তহবিল থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে খাদ্য সংকটে থাকা লোকজনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
রাত সাড়ে আটটার দিকে নিভৃতে তিনি চলে যান গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা খাপারা পুরান বাজার এবং টঙ্গী আউচপাড়া এলাকায়। সেখানে খাদ্য সংকটে থাকা একজন বিধবা মহিলা যিনি বাড়ি বাড়ি গৃহকর্মীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, একজন বাসের হেলপারের স্ত্রী, একজন দিনমজুর, দুইজন ফেরিওয়ালার ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন। এরা সকলেই ঘরে থেকে কর্মহীন হয়ে অসহায় দিন যাপন করছিলেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাউল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি ডাউল।
খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানান এবং করোনাভাইরাস ঠেকাতে ঘরে থাকার অনুরোধ করেন। এসময় ফোন করে ঘরে বসে খাদ্য সহায়তা পেয়ে অভিভূত পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেলা প্রশাসক এবং ইউএনও এর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দোয়া করেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, নিজ ঘরে অবস্থানরত কর্মহীন, দরিদ্র ও মানুষের ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সরকারি ত্রাণের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম সমগ্র গাজীপুর জুড়ে চলমান রয়েছে। জেলার সকল এলাকায় সরকারিভাবে তালিকা তৈরী করে অসহায়, কর্মহীন, দরিদ্র মানুষকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা দেয়া হচ্ছে। জেলার যে কোন প্রান্তে যদি কেউ বাদ পড়ে যান, বা যদি কারো খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি তাদেরকে জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন। সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে তাদের ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়া হবে।