গণবাণী ডট কম:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কর্মকর্তা ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে মারা গেছেন। তার পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মি. ভট্টাচার্য জানান, গত ২২শে মার্চ ওই কর্মকর্তা জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর তিনদিনের মধ্যে তিনি সেরে ওঠলেও ২৬শে মার্চ তিনি আবার করোনায় আক্রান্ত হন। এক পর্যায়ে সরকারের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ বা আইইডিসিআর থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলে ওই কর্মকর্তার করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হবার পর ৩০শে মার্চ তাকে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোরে তিনি কর্মকর্তা মারা যান।
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমন্বয়ক ডা. শিহাব উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, “রাত সোয়া ২টার দিকে তার প্রেসার নেমে আসে। আমাদের দিক থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। আনফরচুনেটলি তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সাড়ে ৭টায় মারা যান তিনি।”
২২তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ওই কর্মকর্তা ২০১৬ সাল থেকে দুদকে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, “তিনি ছিলেন একজন সৎ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন দেশ ও জনগণের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তার মৃত্যুতে দেশ একজন মেধাবী কর্মকর্তাকে হারাল।” জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনও ওই দুদক কর্মকর্তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের ফেইসবুক পেইজেও শোক প্রকাশ করে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে গত ৮ই মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ই মার্চ প্রথম একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
রবিবার পাঁচই এপ্রিল আইইডিসিআর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানায়, বাংলাদেশে মোট ৮৮জন মানুষ কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন মোট ৯জন। সূত্র : বিবিসি ও অন্যান্য।