গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এক কাউন্সিলর এর দুই ভাতিজি করোনাভাইরাস কোভিড ১৯ পজিটিভ হওয়ার পর তাদের বাড়ি লকডাউন করতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বাধা প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ওই কাউন্সিলর জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল মানেন না বলে ঘোষণা করেন। শনিবার গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর এই ঘটনা ঘটান।
অভিযান পরিচালনাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে ক্যাপ্টেন বিধান ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)- এর পক্ষে এএসপি হাসান তারেক তাদের নিজ নিজ বাহিনীর সদস্যসহ উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী জানান, পূবাইল এলাকায় বসবাসকারী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহীনুল আলম মৃধার ২ ভাতিজি আইইডিসিআর-এর পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হন। আক্রান্ত ব্যক্তিগণ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ যৌথ পরিবারে বসবাস করেন।
সরকারের নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করতে গেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আইইডিসিআর-এর প্রতিবেদন মানতে অস্বীকার করেন এবং তাদের পরিবারের বাড়িতে হোম-কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার বিষয়ে থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রতিনিধিসহ উপস্থিত অভিযান পরিচালনাকারীদের বাধা দেবার চেষ্টা করেন। এ সময় দেখা যায়, কাউন্সিলরের করোনা আক্রান্ত দুই ভাতিজি বাসার বাইরে চলাফেরা করছে। পরে অভিযান পরিচালনাকারীরা অনেক চেষ্টা করে বাসার বাইরে চলাচলরত তার করোনা আক্রান্ত ২ ভাতিজিকে বাসার ভিতরে পাঠাতে সক্ষম হন। পরে উক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তাদের বাড়ির সকল সদস্যকে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করানো হয়। পরে তাদের বাড়ির চারপাশে লাল পতাকা টানানো হয় এবং এলাকায় মাইকিং করে এলাকাবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়। তারা যেন বাসা থেকে বের না হতে পারেন তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পূবাইল থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দকে বাসার সামনে পাহারায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়। রবিবার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে টিম গিয়ে উক্ত বাড়ির অন্যদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করবেন।
পরে গাছা থানাধীন পূর্ব কলেমশ্বর এলাকায় করোনা পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত এক নারী ব্যাংকারের বসবাসরত বাসায় লাল পতাকা লাগিয়ে ও মেইন গেটে তালা লাগিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। উক্ত আক্রান্ত ব্যক্তির বসবাসরত ৫তলা বিশিষ্ট বাসায় ২২টি পরিবারের ৯২জন সদস্য বাস করে। যাদের মধ্যে গাছা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম রবিবার অত্র বাড়িতে যাবেন মর্মে জানা যায়।
এছাড়া, পূবাইল এলাকায় সরকারি আদেশ অমান্য করে নির্ধারিত সময়ের পরে দোকান চালু রাখায় একজনকে মোবাইল কোর্ট-এর আওতায় অর্থদন্ড দেওয়া হয়।