গণবাণী ডট কম:
বাংলাদেশ করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় (একদিনে) সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৭৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অপরদিকে নতুন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এ সময়ের মধ্যে মোট ২১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ২৬৬ জন আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত হলেন ১ হাজার ৮৩৮ জন।
শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অন লাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেন।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৯ জন রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেগেছেন। এ নিয়ে মোট ৫৮ জন সুস্থ্য হলেন।
বাংলাদেশে প্রথম ৮ই মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। সেই থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে প্রায় ৫০০ রোগীকে। যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৩২%। এছাড়া ৬৮% বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ২৭ জন রোগীকে আইসিইউ সেবা দেয়া হয়েছে। যা মোট আক্রান্তের ১.৮ শতাংশ।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী করোনাভাইরাসের টেস্টিং বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় লকডাউন কার্যকরের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী এবং আক্রান্তদের ৪৬ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া ২০ শতাংশ বাসিন্দা নারায়নগঞ্জের। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মিরপুর এলাকা, প্রায় ১১ শতাংশ। এছাড়া মোহাম্মদপুর, ওয়ারি এবং যাত্রাবাড়িতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ শতাংশ করে। উত্তরা এবং ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ করে। এছাড়া গাজীপুর, চট্টগ্রাম এবং মুন্সিগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা আগের চাইতে বেড়েছে।
এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২১ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ১৯ শতাংশের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে এবং ১৫ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।