গণবাণী ডট কম:
করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ কে বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করে যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, একজন মানুষ অন্য একজন মানুষ থেকে দুরত্ব বঝায় রেখে নিজেকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা। আর করোনা ভাইরাস ছড়ায় নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে। অর্থাৎ এ ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নি:স্বাসের মাধ্যমে, মুখের লালা, থুথু, হাঁচি, কাশি ইত্যাদির মাধ্যমে অন্য মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য স্বাস্থ্য বিধিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, দুজনের মাঝখানে করো কারো মতে ৩ ফুট, কারো কারো মতে ৬ ফুট দুরত্ব বঝায় রাখতে।
ভারতেও ভাইরাসটিতে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নতুন পদ্ধতি। ভারতের উড়িষ্যা বাসীকে সামাজিক দুরুত্ব বঝায় রাখতে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, করোনার বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ওড়িষ্যাবাসীকে রাস্তায় বেরিয়ে আসার সময় ছাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ছাতা ব্যবহার করলে প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে সঠিক পদ্ধতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে বলে জানায় তারা।
ওড়িষ্যার গঞ্জাম জেলার কালেক্টর বিজয় অমৃত কুলাঙ্গি সবাইকে রাস্তায় বের হলে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই একে-অপরের থেকে দূরত্ব বজায় থাকবে। তিনি টুইটারে একটি কার্টুনের ছবি শেয়ার করেছেন, যাতে দেখা যাচ্ছে যে কীভাবে একটি ছাতা থাকায় দুইজনের মধ্যে প্রায় ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় থাকবে।
অমৃত কুলাঙ্গি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে একটি ছাতা ব্যবহার করলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহারকারীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হবে। যিনি ছাতা ব্যবহার করছেন তার সঙ্গে তখন অন্য ব্যক্তির দূরত্ব ১.৫ মিটার হবেই। আর তাছাড়া ছাতা ব্যবহারে সূর্যের প্রখর তাপও এড়ানো যাবে।