গণবাণী ডট কম:
বিশ্বের প্রথম করোনা জয়ী রাজনীতিক ও প্রধানমন্ত্রী হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। ইতিমধ্যে করোনাকে জয় সুস্থ কাজেও যোগ দিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বর্ণনা করলেন চিকিৎসাকালীন অবস্থায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সেই মুহূর্তগুলোর কথা।
গত ২৬ শে মার্চ বরিস জনসনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। প্রথম দশদিন তিনি সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে আইসোরেশনে থেকে চিকিৎসা নেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রবিবার দ্য সান কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস জনসন জানান, তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে লিটারের পর লিটার অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, আমি মোটেও অস্বীকার করবোনা। এটা ছিল কঠিন একটা সময়।
বরিস জনসন জানান, এটা আমার চিন্তার বাইরে যে এই কয়দিনের মাথায় আমি এতোটা ভেঙ্গে পড়বো।
“মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে আমার শরীর খারাপ হয়ে ওই পর্যায়ে চলে গিয়েছিল এটি বিশ্বাস করা কঠিন,” সানকে বলেন তিনি।
“পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেলে কী করতে হবে চিকিৎসকরা তার সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল।”
‘অসাধারণ সেবার’ কারণেই তিনি সুস্থ হতে পেরেছেন বলে জনসন জানান। এখনও ভুগতে থাকা অন্য অনেকের তুলনায় নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ বলেই অনুভব করেছেন, এমনটিও জানিয়েছেন তিনি।
বলেছেন, “আর এই কারণে আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘অন্যদের দুর্ভোগ থামানোর বিষয়ে আমার মধ্যে কী কোনো আকাঙ্ক্ষা জেগেছে?’ হ্যাঁ, পুরোপুরি।
“তবে আরেকটি প্রবল আকাঙ্ক্ষাও আমাকে চালিত করছে, তা হল আমাদের দেশকে আবার সাফল্যের ধারায় ফিরিয়ে আনা, ফের স্বাস্থ্যবান করে তোলা, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে চলা আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা এটি পারবো।”
আইসিইউতে মনিটরের সঙ্গে যুক্ত থাকা ও ‘ইন্ডিকেটরগুলোর উল্টো দিকে যাওয়া অব্যাহত আছে’ দেখা কঠিন ছিল বলে সংবাদপত্রটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।
“পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন ছিল, এটি অস্বীকার করবো না,” দেওয়া উদ্ধৃতিতে এমনটাই বলেছেন তিনি আর নিজেকে প্রশ্ন করে গেছেন, “আমি কীভাবে এ থেকে বের হবো?”
জনসন এই সাক্ষাৎকার দেয়ার আগে তার বাগদত্তা ক্যারি সিমন্ডস জানিয়েছেন, তারা তাদের সদ্যোজাত ছেলের নাম রেখেছেন উয়িলফ্রেড ল্যরি নিকোলাস জনসন। এই নামের মাধ্যমে তাদের দাদাদের ও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে থাকাকালে যে দুই চিকিৎসক জনসনকে চিকিৎসা দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে বলে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন সিমন্ডস।
জনসন আইসিইউ থেকে ছাড়া পাওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ পর গত বুধবার তাদের এ সন্তানটির জন্ম হয়।
এদিকে দেশটিতে ইতিমধ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষ।
তবে, দেশটির একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন ব্রিটেনে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত রোগে হাসপাতালে ভর্তির হার ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর : বিবিসি।