গণবাণী ডট কম:
করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে দেশে সুস্থ্য হওয়াদের সংখ্যা রবিবার ১৭৭ থেকে একলাফে বেড়ে ১ হাজার ৬৩ জনে উন্নীত হয়েছে। রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনের শুরুতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান। তিনি আরো সুস্থ্য হওয়াদের মধ্যে ঢাকায় সুস্থ্য হয়েছেন ৬২৪ জন। বাকীরা বিভিন্ন বিভাগীয় এলাকায় থেকে সুস্থ্য হয়েছেন।
শনিবার ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর জানিয়েছিল, দেশে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৭৭ জন। সেখান থেকে একদিনে কীভাবে এত বেশি রোগী সুস্থ্য হলো এর ব্যাখায় আইইডিসিআর বলছে, কাদেরকে সুস্থ্য বলা হবে সে ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া একটি নতুন গাইডলাইন অনুসরন করছে তারা।
এ সময় তিনি আরো জানান, দেশে করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৬৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। এটাই এযাবৎকালের একদিনে সবোর্চ্চ সংখ্যক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৫৫ জনে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন। ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা ১৭৭। মারা যাওয়া ২ জনের মধ্যে একজনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে। আরেক জনের বয়স ষাট বছরের ওপরে। তাদের একজন রংপুরের বাসিন্দা, আরেকজন নারায়নগঞ্জের।
১লা মে স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, বর্তমানে দেশের ৩১টি ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। আইসোলেশন থেকে ছাড়া হয়েছে ৬০ জনকে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ৯৮৭৪ জনকে। ছাড়পত্র পেয়েছেন ২১৪৯ জন।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় লাখের মতো সুরক্ষা সামগ্রী মজুদ আছে বলে গতকালকের বুলেটিনে জানানো হয়। নতুন করে সংগ্রহ করা হয়েছে ৩২,৬৭০টি সুরক্ষা সামগ্রী।
গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি হটলাইনে ৭০,২২১ টি ফোন এসেছে। সেখানে কোভিড-১৯ বিষয়সহ নানা স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ১৭,০০৮ জনকে সেবা দেয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর, স্থলবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৫৬৯ জনকে।