গণবাণী ডট কম :
গাজীপুর মহানগরীর গাছা এলাকা হতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য নাজমুল হাসান নোমান (২০)কে আটক করেছে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে উগ্রবাদী বই, কম্পিউটার, চাপাতি, মোবাইল ও ফেসবুকে উস্কানীমূলক পোস্ট জব্দ করা হয়েছে।
আটক নোমান গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার এলাকার উত্তর খাইলকোরের মোঃ আব্দুল কাদিরের ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী, পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংঘঠন “জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)” এর কতিপয় সক্রিয় সদস্য গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) এর গাজীপুর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকুর এলাকায় গোপনে অবস্থান করছে। তারা বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি, ধর্মীয় উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অত্র কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন (জি) বিএন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এসময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংঘঠন জেএমবি‘র সক্রিয় সদস্য মোঃ নাজমুল হাসান নোমান (১৯)কে আটক করা হয়। এ সময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ৪টি উগ্রবাদী বই, উগ্রবাদী প্রচারণার স্ক্রীণশট ২০ পাতা, ১টি কম্পিউটার সিপিইউ, ১টি ষ্টীলের চাপাতি, ১ টি মোবাইল ফোন জব্ধ করা হয়।
ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করিবার জন্য এবং জনসাধারনের ভিতর আতঙ্ক সৃষ্টি, ধর্মীয় উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে বর্ণিত স্থানে অবস্থান করছিল। তাদের সংগঠনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে, তাদের বিধিবদ্ধ কোন সংগঠন নেই, তারা দেশের বর্তমান নির্বাচনী ও ভোটাধিকার ব্যবস্থা বিশ্বাস করে না এবং সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচিত গনতান্ত্রিক সরকারকে তারা শয়তানের দল বলে অবহিত করে। তিনি তার ফেইসবুক আইডি থেকে জিহাদের ডাক দিয়ে বিভিন্ন পোষ্ট করেছেন। তারা দেশের সংবিধান ও জাতীয় সংসদকে স্বীকার করে না। তারা নিজেরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে না এবং অন্যকেউ ভোটাধিকার প্রদানে নিরুৎসাহিত করে। তারা নারী নেতৃত্বে বিশ্বাস করে না এবং তারা প্রচলিত যাকাত ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে, তাদের মতাদর্শের সদস্যদের নিকট থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা উত্তোলন করে দেশ ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য তহবিল গঠন করে। ইতোমধ্যে তারা ধর্মপ্রান মানুষের ধর্মীয় বিশ্বিবাসকে পুঁজি করে ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে তাদের আদর্শের অনুকূলে সদস্য সংগ্রহ ও চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।