গণবাণী ডট কম:
এবার সৌদি আরবে যে হজ অনুষ্ঠিত হবে তাতে সব মিলে এক হাজারেরও কম মানুষ অংশ নেবার সুযোগ পাবে। মূলতঃ এবারের হজটি স্রেফ প্রতীকি হতে যাচ্ছে।
এর আগে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলো যে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাইরের দেশ থেকে হজ করতে যাবার সুযোগ বাতিল করা হচ্ছে এবার। হজের সুযোগ পাবে শুধু সৌদি আরবের বাসিন্দা এবং দেশটিতে বসবাসরত বিদেশিরা।
এবার বিশ্বের কোনো দেশ থেকে পবিত্র হজ করতে সৌদি আরবে কেউ যেতে পারছেন না। ফলে বাংলাদেশ থেকে যারা নিবন্ধন করেছিলেন তাদের এবার হজ করা হচ্ছে না। সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড একে আব্দুল মোমেনকে ফোন করেন।
এ সময় তিনি করোনা ভাইরাসের কারণে হজ বাতিলের বিষয়টি বাংলাদেশের মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এবার হজে এক হাজারেরও কম লোক অংশ নেবেন বলে জানান সৌদির মন্ত্রী। পরে ড. মোমেন এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান।
মূলত করোনার মহামারির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব। ফলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধন করা মুসল্লিরা এবার হজে যেতে পারছেন না।
এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হজে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে যারা নিবন্ধন করেছিলেন, তারা যেকোনো সময় তাদের নিবন্ধনের টাকা তুলে নিতে পারবেন।
যে এক হাজারেরও কম মানুষের অংশ নেবার সুযোগ হবে মুসলমানদের বার্ষিক এই বৃহত্তম সম্মেলনে, সেখানে বিদেশ থেকে অল্প কয়েকজনকে প্রতীকি হিসেবেও অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।
তবে কিভাবে এই অংশগ্রহনকারীদের বাছাই করা হবে তা নিয়ে এখনো কোন ঘোষণা আসেনি।
প্রতি বছর হজ মৌসুমে আনুমানিক কুড়ি লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করেন।
এর আগে আশংকা করা হয়েছিল, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার হজ বাতিল করতে পারে দেশটির কর্তৃপক্ষ। মুসলমানদের জন্য হজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সৌদি আরবে এ পর্যন্ত এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩০৭ জন মানুষ মারা গেছেন।
এর আগে সুরক্ষার জন্য মার্চের শুরুতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন ও ধর্মীয় সব কর্মকাণ্ড বন্ধের বিরল ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব। এর কয়েকদিন পর সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্যেও ওমরাহ হজ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়।
মসজিদে নামাজ পড়া এমনকি ঈদের জামাতের উপরেও বিধিনিষেধ ছিল।
একই সময়ে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে দেশটি। সেখানে বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি ছিল।
সৌদি আরব মাত্র কয়েকদিন আগে দেশব্যাপী লকডাউন প্রত্যাহার করে।
হজ কী?
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হজ। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সামর্থ্য থাকলে এবং শরীর সুস্থ থাকলে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হজ অবশ্য পালনীয়। বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ করা যায়।
বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর অনেক মানুষ হজ পালন করতে যান।
বাংলাদেশ থেকে ২০২০ সালে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হজে যাওয়ার কোটা এক লাখ ৩৭ হাজার।