গণবাণী ডট কম:
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পিত রূপরেখা অনুযায়ী নেতানিয়াহু সরকার ১৯৬৭ সালে অধিকৃত ফিলিস্তিনী এলাকা আনুষ্ঠানিকভাবে দখলে নিতে শুরু করতে পারে বলে গত ১ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করেছিল।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ভিত্তি তৈরির রূপরেখাও ছিল যাতে বলা হয়েছে যে, এটি হবে অসামরিকীকৃত এলাকা এবং তাদের রাজধানী পবিত্র জেরুজালেম নগরীর অভ্যন্তরে হবে না।
মধ্যপ্রাচ্যে শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ডেভিড শেনকার বলেছেন, নেতানিয়াহু অভ্যন্তরীন চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন কারণ, তার কিছু সমর্থক ‘সম্প্রসারণ চান, তবে তারা শান্তি লাভের স্বপ্নে বিশেষভাবে আহলাদিত নয় যে শান্তির জন্য একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনেরও আহ্বান জানানো হচ্ছে।
শেনকার যুক্তরাষ্ট্রের জার্মান মার্শাল ফান্ড প্রতিষ্ঠানে বলেন, ‘সুতরাং, আমরা ইসরাইলিদের প্রতি এমন কিছু না করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি যা স্বপ্নের বাস্তবায়ন বিঘ্নিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু শেষ পর্যন্ত সম্প্রসারণের ব্যাপারে এগিয়ে যাবেন কিনা সে বিষয়ে তিনি অনিশ্চিত। কারণ, তিনি এর প্রভাব কী হবে তা মূল্যায়ন করছেন।’
শেনকার আরো বলেন, আমি মোটেও অবাক হবো না, ‘যদি আমরা কোন কিছু ঘটতে না দেখি। তবে আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী কিছু করতে চাইছেন।’
ইসরাইলের দৃঢ় সমর্থক ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে যে, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে সম্প্রসারণের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর প্রতি ওয়াশিংটনের সবুজ সঙ্কেত রয়েছে।
শেনকার আরো বলেন, ইসরাইল ইউরোপীয় শক্তিসমূহের হুমকি এবং বন্ধুপ্রতিম আরব রাষ্ট্রগুলোর তীব্র আপত্তির মুখোমুখী হওয়ার বিষয়েও সচেতন রয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে অভিযোগ করছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করছে ও ভবিষ্যতে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে দরকষাকষির চেষ্টা চালাচ্ছে।