গণবাণী ডট কম :
এবারের পবিত্র হজ ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে হচ্ছে। হজের খুতবায় অনন্যা দোয়ার সঙ্গে যোগ হয়েছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটা হচ্ছে করোনা থেকে মুক্তি। মহান আল্লাহর দরবারে এই মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করা হয়।
মসজিদে নামিরায় খুতবা পড়েন নতুন খতিব শায়খ ড. আব্দুল্লাহ ইবনে সুলাইমান আল-মানিয়া।
বাংলাদেশ সময় ৩টা ২৫ মিনিটে আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেওয়া হয়। শেষ হয় ৩টা ৫৭ মিনিটে।
খুতবায় বলা হয়, ‘হে মুসলিম সম্প্রদায়, আমি তোমাদের প্রতি উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় কর। এর মাধ্যমে আপতিত সব আপদ-বিপদ তিনি দূর করে দেবেন। আল্লাহকে ভয় করার অর্থ হলো সুখে-দুঃখে, শান্তিতে-অশান্তিতে তার কাছেই সমর্পিত হওয়া।
খুতবায় আরো বলা হয়, ‘আল্লাহ তায়ালার ওপরে, তার সৃষ্ট ফেরেশতাদের ওপরে, আসমানি কিতাবসমূহের ওপরে, আগত সমস্ত রাসূলের ওপরে, কিয়ামত দিবসের ওপরে এবং ভালো-মন্দ যা কিছু হয় তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়- এ কথার ওপরে অন্তরে দৃঢ়বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।’
‘আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- হে ইমানদারগণ, তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর সবর এবং সালাতের মাধ্যমে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’
‘হে মানব সম্প্রদায়, পৃথিবী দুঃখকষ্ট থেকে মুক্ত নয়। জীবনের পদে পদে বিপদ আসবেই। তখন আমাদের নিরাশ হলে চলবে না। ধৈর্যধারণ করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।’
‘আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের ঈমানকে যাচাই করতে চান। ধৈর্যধারণ করে সেই পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে।’
‘হে মানবসম্প্রদায়, আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ অত্যন্ত প্রশস্ত। তিনি আমাদের জন্য সবকিছু সহজ করতে চান। পবিত্র কুরআনে আছে, প্রত্যেক কাঠিন্যতার সঙ্গেই সহজতা আছে।’
খতিব বলেন, ‘জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান মানা আমাদের জন্য আবশ্যক; যা হালাল তা উপার্জন করতে হবে। আর যা হারাম তা পরিত্যাগ করতে হবে।’
খুতবায় আরো বলা হয়, ‘হে মানবসম্প্রদায়, নবীজি (সা.) বলেছেন, তোমরা কুষ্ঠরোগী দেখলে পলায়ন করো, যেমন বাঘ দেখলে পলায়ন করে থাক। তোমাদের কোনো এলাকায় যদি মহামারি দেখা দেয়, তাহলে সেখান থেকে বের হইও না এবং সেখানে প্রবেশ করো না।’