গণবাণী ডট কম :
করোনা আক্রান্ত রোগীদেরকে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা সকলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড মেনে চলতে বলছেন৷ এর কারণ ধারণা করা হতো যে করোনা মানুষের শরীরে ১৪ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে৷ তারপর ধীরে ধীরে ভাইরাসটি দুর্বল হয়৷ এই নিয়মের ব্যাতিক্রমও ঘটেছে৷ কিন্তু এবার প্রচলিত ধারণা বদল করার সময় এসেছে৷
করোনা ১৪ দিন নয়, ৪৯ দিন পর্যন্ত মানুষের শরীরে টিকে থাকতে পারে৷ এমনটাই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক গবেষণায়৷ এই গবেষণার রিপোর্ট করোনা সম্পর্কে আগের প্রচলিত অনেকগুলি ধারণা একেবারে বদলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা সিডিসি-এর পত্রিকার একটি প্রবন্ধে সম্প্রতি একদল চীনা গবেষকের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ১৪ দিন বা সর্বাধিক ২১ দিন পর্যন্ত করোনা মানুষের শরীরে বেঁচে থাকতে পারে বলে যে ধারণা এতদিন ধরে চলে আসছিল তা ঠিক নয়৷ নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে করোনা প্রায় ৪৯ দিন পর্যন্ত মানুষের শরীরে টিকে থাকতে পারে৷
মোট ৪৯ জন করোনা আক্রান্তকে দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণের পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছন৷ তারা জানিয়েছেন, রোগীদের মধ্যে ১ থেকে ৭০ বছর বয়সী এমন ৪৩ জনের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে৷ ৪৬ থেকে ৭৬ বছর বয়সী মোট ৬ জনের মধ্যে করোনার তীব্র উপসর্গ পাওয়া যায়৷
এই গবেষণায় মোট ৪৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ সেগুলো বিশ্লেষণ করার সময় গবেষকরা লক্ষ্য করেন করোনা রোগীদের মধ্যে ৪৫ থেকে ৪৯ দিন পর্যন্ত ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে৷ মৃদ উপসর্গদের ক্ষেত্রে শরীরে ৪৫ দিন এবং তীব্র উপসর্গদের ক্ষেত্রে শরীরে ৪৯ দিন পর্যন্ত ভাইরাস টিকে থাকতে পারে৷
চীনা গবেষকদের এই গবেষণা সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কারণ, মাত্র ৪৯ জন করোনা আক্রান্তকে পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য তারা প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া, কত দিন পর্যন্ত এক জনের শরীর থেকে অন্য জনে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে, সে বিষয়ে কোনও তথ্যই এই গবেষণা থেকে পাওয়া যায়নি। জি নিউজ।