গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই তরুণী শ্রমিক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিদাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার এক তরুণী গতকাল রবিবার সকালে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন আজ বিকালে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি দিয়েছে।
বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার তরুণীদের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ ও আরেকজনের ১৯। তাঁদের একজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন ও আরেকজনের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। তাঁরা দুজনই পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকার একটি স্পিনিং মিলের শ্রমিক।
মামলায় ধর্ষণে অভিযুক্তরা হলেন, শাহিনুল (৩০), কালাম (২৮), জাহাঙ্গীর (৩০), মোকসেদুল (৩০) ও বাবু (১৮)। তাদের মধ্যে পুলিশ গতকাল সকালে শাহিনুল, কালাম, জাহাঙ্গীর ও বাবুকে গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষণের শিকার এক তরুণী (মামলার বাদী) জানান, গত শুক্রবার বিকেলে কারখানা ছুটির পর তাঁর সহকর্মী (আরেক তরুণী শ্রমিক) তাকে শ্রীপুরের বিদাই গ্রামে তাঁর এক ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার অনুরোধ করে। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তারা সেখানে যায়। সেখানে যাওয়ার পর খোকনের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাঁকে ও তাঁর সহকর্মীকে অভিযুক্তরা পরিত্যক্ত মুরগির খামারের ভেতর নিয়ে যায়। ওই সময় তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে তাঁকে। একপর্যায়ে পাঁচজন পালাক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে কারখানার কোয়ার্টারে ফিরে তাঁর ওই সহকর্মীর দেখা পান তিনি। পরে তাঁর সহকর্মী তাঁকে জানান, তাঁকেও (সহকর্মী) জাহাঙ্গীর ও কালাম উপর্যুপরি ধর্ষণ করেছে। পরে রাতেই একটি পিকআপভ্যানে তাঁকে জৈনা এলাকায় রেখে যায়।
শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মনিরুজ্জামান খান জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শাহিনুল ও বাবুকে আদালতে তোলা হলে তারা ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনা জেনে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেকজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে’।