গণবাণী ডট কম:
ইউরোপের দেশগুলোতে ছুটির দিনগুলো একটু ভিন্ন হয়, পরিবার পরিজন সপ্তাহ শেষে আড্ডায় মেতে ওঠে দুপুর এবং রাতের খাবার রেস্টুরেন্টে বা পরিবার পরিজনের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে থাকে। সপ্তাহের ছুটির দিনগুলো ভিন্নরকম নানা আনন্দ আয়োজনে ভরপুর থাকে।
মহামারী এই আনন্দে বাধ সেধেছে যেমন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মধ্যরাত পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ৯ নভেম্বর থেকে ২৩ শে নভেম্বর পর্যন্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেন এবং গৃহীত পদক্ষেপগুলো সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১২১ টি মিউনিসিপ্যালিটিতে প্রতিদিন রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে, এবং ছুটির দিনে দুপুর ১টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে। এই সময়ে নির্দিষ্ট জরুরি কারণ ছাড়া রাস্তায় চলাচল করা যাবে না। এটি কার্যকর হবে আগামী ৮ই নভেম্বর মধ্যরাতের পর থেকে অর্থাৎ ৯ ই নভেম্বর রাত বারোটা থেকে।
প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণের বাহনের একটি ছকের বিশ্লেষণ প্রদান করেন এতে তিনি ব্যাখ্যা করেন, ৬৮ শতাংশ সংক্রমণ পরিবার থেকে, ১২ শতাংশ কর্মসংস্থান থেকে, ৮ শতাংশ বৃদ্ধাশ্রম/দুস্থ সেবা কেন্দ্র, শতাংশ বিদ্যালয়, ৩ শতাংশ সামাজিক এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থেকে সংক্রমিত হচ্ছে। সুতরাং পারিবারিক চলাচল কিছুটা রোধ করা গেলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।
এছাড়া তিনি গুরুত্বারোপ করেন আগামী মাসে বড় উৎসব বড়দিন রয়েছে, সুতরাং যদি এই দুই সপ্তাহে আমরা কিছুটা সংক্রমণ রোধ করতে পারি তাহলে আমরা সুন্দরভাবে উৎসব পালন করতে সক্ষম হব। তিনি সবাইকে পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।