গণবাণী ডট কম:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, মিয়ানমার রিয়ালাইজ করেছে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া দরকার। বাংলাদেশও ফিল করে তারা (রোহিঙ্গা) সম্মানের সঙ্গে নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরে যাক।’ প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার ( ২০ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোহিঙ্গাদের জন্য চায়না সরকার প্রদত্ত জরুরি চাল সহায়তা বিষয়ক অনলাইন সার্টিফিকেট স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গতকাল মঙ্গলবার ( ১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। যেখানে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর মতে, ‘চীন সরকার চায় বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া উচিত। মিয়ানমার সরকার চায় বাংলাদেশ সরকার যে তালিকা দিয়েছে এবং যে তালিকাটা তারা ভেরিফাইড করেছে সেই তালিকা অনুযায়ী ফেরত নিতে চায়। আমরা গতকাল চীন ও মিয়ানমারের যে সদিচ্ছা দেখেছি সবাই আশা করছে, আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যাবাসনটা শুরু হবে।’
ডা: মোঃ এনামুর রহমান মনে করেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু । পদ্মা সেতুসহ অনেক বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে চায়না কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পাশে রয়েছে। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে প্রত্যাবর্তনে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি মায়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে । তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করানো যায় ততই সবার জন্য মঙ্গল। বাংলাদেশের দেয়া তালিকা থেকে ৪১ হাজার ৭১৯ জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে মিয়ানমার।
প্রতিমন্ত্রী মতে, ‘বাংলাদেশের যেমন চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, একইভাবে মিয়ানমারের সঙ্গেও তাদের (চীনের) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, মিয়ানমারের উন্নয়নে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই জায়গায় চীন যদি সত্যিকারভাবে চায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই তারা মিয়ানমার সরকারকে প্রভাবিত করতে পারবে।’