গণবাণী ডট কম:
দেশের ২০টি জেলার ২৯টি পৌরসভায় রবিবার ভোট গ্রহণ হবে। প্রায় ১৪ লাখ ভোটার বেছে নেবেন তাদের মেয়র-কাউন্সিলরদের। এই ধাপে সকল পৌরসভায় ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমের মাধ্যমে। যাতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০০ জন প্রার্থী। আর কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৬শ’রও বেশি। ৫টি রাজনৈতিক দল এই ধাপের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
চার ধাপে ২শ ৪টি পৌরসভায় নির্বাচনের পর রোববার ৫ম ধাপে ২৯টি পৌরসভায় ভোট হবে। এই ধাপের নির্বাচনে চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভায় সকল পদে একক প্রার্থী থাকায় সেখানে ভোট হচ্ছে না। আর মাদারীপুরের শিবচর এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই পৌরসভায় মেয়র পদে একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি পৌরসভাগুলোতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯৬ জন। সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১ হাজার ২শ ৭৮ জন আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩শ ৪৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এসব পৌরসভায় মোট ভোটার ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ১শ ৬৫ জন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৫টি রাজনৈতিক দল এই ধাপের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ৬শ ২৫টি কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ২ হাজার ৫শ ৪৮ জন আর আনসার সদস্য থাকবে ৫ হাজার ৭শ ৩৩ জন। পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ১শ ৩০টি টিম মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া, র্যা বের ৯৭টি টিম এবং প্রত্যেক পৌরসভায় অন্তত ২ প্লাটুন করে বিজিবি সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় এলাকার প্রতি পৌরসভায় ১ প্লাটুন কোস্টগার্ড থাকবে। এছাড়া প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও প্রতি পৌরসভায় একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দিন ট্রাক, পিকআপ ও ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মোটরবাইক চলাচল বন্ধ থাকবে নির্বাচনের পর দিন সকাল পর্যন্ত। এছাড়া কয়েকটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন পদে একই দিনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।