গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ি সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার দুপুরে পুলিশের সাথে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ লাঠি চার্জ, টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতে নিয়ণন্ত্রে আনে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরের দিকে একটি মিছিল বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছায়। এসময় মহানগর পুলিশের একটি টিম সেখানে দায়িত্ব পালন করছিল। এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পুলিশের একটি গাড়ি কাচ ভাংচুর করে। পরে পুলিশ ধাওয়া, লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ বিষয়ে গাজীপুর সদর মেট্রোথানা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শামীম সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। দুপুর একটার দিকে যুবদলের একটি মিছিল শহরের রেল গেইট এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছালে বিনা উষ্কানীতে পুলিশ পিছন থেকে মিছিলে লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মহানগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আল রাজুর অবস্থা গুরুত্বর।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান (ক্রাইম ও মিডিয়া) জানান, আজকে (শনিবার) তাদের কোন কর্মসূচি ছিল না। নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে তারা জড়ো হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ আমাদের কাছে ছিল। নাশকতা যাতে না করতে পারে এ জন্য সেখানে পুলিশ পাহাড়ায় ছিল। পুলিশ দেখেই তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় তারা একটি গাড়ি ভাংচুর করে এবং তাদের ইটের আঘাতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে জান-মাল রক্ষার্থে পুলিশ মোট ৩৬ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।