গণবাণী ডট কম:
দেশে বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চলমান সার্বিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ ও চলাচলের উপর আরোপিত বিধি নিষেধ বা লকডাউনের সময়সীমা আবারো বাড়ানো হয়েছে।
চলমান বিধিনিষেধ আগামী ৬ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ রবিববার (৩০ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব রকমের গণপরিবহন চলবে বলেও জানানো হয়। এর আগে গত ২৩ মে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই হিসেবে আজ চলমান বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে থেকে জারি করা সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “৩০শে মে মধ্যরাত থেকে ৬ই জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরণের বিধিনিষেধ জারি থাকার মেয়াদ বাড়ানো হলো”।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগের সব শর্ত এই নতুন সময় সীমাতেও কার্যকর থাকবে।
যদিও কাগজে-কলমে বিধিনিষেধ জারি থাকার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু দেশে বেশ অনেকদিন ধরে দোকানপাটসহ বিভিন্ন অফিসের কার্যক্রম চলছে। এক পর্যায়ে শহরের মধ্যে যানবাহন চালু করা হয়েছিল। এখন আন্তঃজেলা পর্যায়ের যানবাহনও চালু করা হয়েছে।
গত ২৩শে মে দেয়া লকডাউন বর্ধিত করা ঘোষণাতেই বেশ কিছু শর্ত শিথিল করা হয়েছিল। সেসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার শর্তে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল করার অনুমতি দেয়া হয়। সেখানে সরকারিভাবে পরিচালিত ট্রেনও চালু করার কথা বলা হয়।
অভ্যন্তরীন বিমান আগে থেকেই চলছে।
এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাবার পরিবেশনের অনুমোদন আসে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কারণে গত ১৪ই এপ্রিল থেকে আবার কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছিল।
এদিকে, দেশে ঢিলেঢালা ভাবে লকডাউন চললেও উত্তরাঞ্চলীয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আলাদাভাবে একটা লকডাউন পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন।
সেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে বেশি হওয়ার পর জেলাটিতে দেশের অন্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় বলে প্রশাসন থেকে বলা হয়।
এছাড়া সিলেট, কুমিল্লা, খুলনা, যশোর, দিনাজপুর এবং ঝিনাইদহ সহ বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণের বৃদ্ধির খবর পাওয়া যায়।