গণবাণী ডট কম :
গাজীপুর মহানগরীতে সমিতি গঠন করে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাদের বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগর পুলিশের গাছা থানায় এক ভূক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার নথমুলা গ্রামের মৃত ইউনুস হাওলাদারের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (৩৭) এবং পিরোজপুর জেলার একই থানার ধাওয়া গ্রামের মো: কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান (৩২)।
গ্রেফতারের পর তাদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর আদালতে হাজির করার পর আদালতে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান আজ দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, গাছা থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার নামীয় আসামী শাহিন আলম (৩৫) দীর্ঘ দিন যাবৎ নিউ লাইফ মাল্টি প্রোডাক্টস্ লিঃ সহ অন্যান্য কোম্পানির সেল্স রিপ্রেজেন্ট্রেটিভ হিসেবে মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় বিভিন্ন দোকানদারদের নিকট বিভিন্ন মালামাল বিক্রয় করার কারণে সকল দোকানদার এবং স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে পূর্ব পরিচিত ছিল। এ সুযোগে শাহীন আলম ও গ্রেফতারকৃত আসামীরা আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের সহায়তায় গত ২০১৯ সালে গাছা থানাধীন আইইউটি গেইট কলমেশ্বর এলাকায় জনৈক হাসেম খান মার্কেট এর ২য় তলায় অফিস ভাড়া নেয়। পরে সেখানে রেজিঃ ১৪৩ উল্লেখ করে “বোর্ড বাজার প্রতিভা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ” নামক সমিতি প্রতিষ্ঠা করে। এ সমিতিতে সদস্য ভর্তি হয়ে সঞ্চয় করলে বিভিন্ন অংকের টাকা ঋণ দেয়া হবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে ৬শ থেকে সাড়ে ৬শ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা সঞ্চয় গ্রহণ করে। এভাবে এক কোটি টাকার মতো সঞ্চয় জমা হবার পর আসামীসরা পরস্পর যোগসাজশে সমিতির সদস্যদের ঋন ও জমাকৃত টাকায় লাভ প্রদান করার কথা বলে সকলের নিকট থেকে পাস বই সংগ্রহ করে নিজেদের কাছে জমা রাখে। পরে সমিতির অফিস বন্ধ করে সকলেই পালিয়ে যায়। পরে সমিতির সদস্যরা নানাভাবে চেষ্টা করে টাকা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে সমিতির এক সদস্য বাদী হয়ে জিএমপির গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়। আসামীরা পরস্পর মিলে সমিতি প্রতিষ্ঠা করলে বাদীসহ অন্যান্য সদস্যরা বিশ্বাস স্থাপন করে মোট অনুমান ১ কোটি টাকা সঞ্চয় জমা করে, কিন্তু আসামীলা বিশ্বাস ভঙ্গ করে গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা প্রতারনামূলকভাবে আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়।
মামলা দায়ের করা পর বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে গাছা থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে একজন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়াটার্স এর নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই গাজীপুর জেলার উপর অর্পন করেন।
মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর পিআ্ইবি উক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আ্সামীরা
এই বিষয়ে পিবিআই গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, আসামীগন একে অপরের পূর্ব পরিচিত সেই হিসেবে তারা একটি সমবায় সমিতি গড়ে তুলে এবং সাধারণ মানুষের নিকট থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করে। আসল ও সুদসহ পরিশোধ করার অঙ্গীকার করলেও পরবর্তীতে তারা কোনটি পরিশোধ না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়।