গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন সোমবার। এজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সকল উপজেলায় নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রোববার বিকেলেই সকল কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এতে ৬৩৬জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ হবে।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্ণিং অফিসার কাজী মো: ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, গাজীপুর জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ৫জন সদস্য ও ২জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন। এবার গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সাধারণ সদস্য পদে ২০জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে এক নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা মোটরসাইকেল, এসএম মোকছেদ আলম আনারস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সামসুদ্দিন খন্দকার চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এবার নির্বাচনের সবগুলো কেন্দ্রেই ভোট হবে ইভিএম এ ভোট। নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক তিনি আরো জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ট্রাইকিং ফোর্স, ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
সহকারি রিটার্ণিং অফিসার কাজী মো: ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা হলেন জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের মোট ভোটার ৬৩৬জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮৪ এবং মহিলা ভোটার ১৫২টি। ভোট কেন্দ্র ৫টি। ভোটারদের মধ্যে গাজীপুর সদরের ১৩২জন, কালিয়াকৈর উপজেলায় ১৩১জন, শ্রীপুরে ১২০জন, কাপাসিয়ায় ১৪৬জন এবং কালীগঞ্জে ১০৭জন ভোটার রয়েছেন। তাঁদের ভোটে একজন চেয়ারম্যান, ৫জন সদস্য ও ২জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্ণিং অফিসার আনিছুর রহমান জানান, একটি শন্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি জেলার জনপ্রতিধিগণ নিয়ম মেনে নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভোট উৎসব হবে।