গণবাণী ডট কম:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে ৫টি সংসদীয় আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসাবে ৩৭জন নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে থাকলেন।
রিটার্ণিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের কাছে এ সাত প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার আবেরদন করেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর রিটার্ণিং কর্মকর্তা ৫টি সংদসীয় আসনের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। সোমবার এসব প্রার্থীর মধ্যে তাদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, জেলার পাঁচটি আসন থেকেই জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া গাজীপুর-১ আসনে তৃণমূল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে দুজন করে প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোঃ আঃ জব্বার সরকার ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আল-আমিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ফলে গাজীপুর-১ আসন আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী ও জাতীয় পার্টির এমএম নিয়াজ উদ্দিন চূড়ান্ত প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সূত্র আরো জানায়, মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে ৫টি আসনে মোট ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪২ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে আপীলে দুইজন প্রার্থীতা ফেরৎ পান। এ নিয়ে বৈধ ৪৪ প্রার্থীর মধ্যে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর গাজীপুরের ৫টি আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৩৭জন।
গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনের চুড়ান্ত প্রার্থীগণ হলেন;
আসনের নাম : গাজীপুর-১। এখানে চুড়ান্ত প্রার্থী ৭ জন। তাঁরা হলেন;
আ ক ম মোজাম্মেল হক (আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও বর্তমান এমপি), চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিদ্দিকী (তৃণমুল বিএনপি ও বিএনপি নেতা তানভীর সিদ্দিকীর ছেলে), এম এম নিয়াজ উদ্দিন (জাতীয় পার্টি), মো. সফিকুল ইসলাম (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), ফজলুর রহমান (ইসলামী ঐক্যজোট), রেজাউল করিম রাসেল (আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ও কালিয়াকৈর আওয়ামী লীগ সম্পাদক) ও আর্শেদুজ্জামান (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন।
আসনের নাম : গাজীপুর-২। এখানে চুড়ান্ত প্রার্থী ৯ জন। তাঁরা হলেন;
মো: জাহিদ আহসান রাসেল (আওয়ামী লীগ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বর্তমান এমপি), সৈয়দ আবু দাউদ মছনবী হায়দার (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মো: জয়নাল আবেদীন (জাতীয় পার্টি), রেহানা আক্তার রিনা (বাংলাদেশ কংগ্রেস), কাজী হাসিবুর রহমান রাব্বী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), এস এম জাহাঙ্গীর আলম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো: আমির হোসাইন (ইসলামী ফ্রৃন্ট বাংলাদেশ), মো. সাইফুল ইসলাম (আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র), কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন (আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র)।
আসনের নাম : গাজীপুর-৩। এখানে চুড়ান্ত প্রার্থী ৭ জন। তাঁরা হলেন;
রুমানা আলী টুসি (আওয়ামী লীগ, প্রয়াত রহমত আলীর মেয়ে, সংরক্ষিত এমপি), মো: আব্দুর রহমান (কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ), মো: জয়নাল আবেদীন (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মো. জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু (জাসদ-ইনু), এফ এম সাইফুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ (আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র. জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও বর্তমান এমপি) ও এ কে এম সাখাওয়াত হোসেন খান (স্বতন্ত্র)।
আসনের নাম : গাজীপুর-৪। এখানে চুড়ান্ত প্রার্থী ৬ জন। তাঁরা হলেন;
সিমিন হোসেন (রিমি) (আওয়ামী লীগ, তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা, বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার), মোহাম্মদ সারোয়ার ই কায়নাত (বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্ট-বিএনএফ), মো: সামসুদ্দিন খান (জাতীয় পার্টি), আব্দুর রউফ খান (বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি), মাসুদ চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), সামসুল হক (স্বতন্ত্র)।
আসনের নাম : গাজীপুর-৫। এখানে চুড়ান্ত প্রার্থী ৮ জন। তাঁরা হলেন;
মেহের আফরোজ চুমকি (আওয়ামী লীগ, বর্তমান এমপি. মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি), এম এম নিয়াজ উদ্দিন (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম আকন্দ (জাসদ), মো. আল আমিন দেওয়ান (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. সোহেল মিয়া (গণফোরাম), উর্মি (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি, তৃতীয় লিঙ্গ), আখতারউজ্জামান ((আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র, সাবেক এমপি) এবং মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, ৫ জানুয়ারি প্রচার শেষ করে ৭ জানুয়ারি ভোট। গাজীপুরের ৫টি আসনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ লাখ ১৪ হাজার ৩২৭। তাদের জন্য মোট ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩৫টি। ভোট কক্ষ ৫ হাজার ৫৬৮টি।
তিনি আরো জানান, আগামি ২০ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।