গণবাণী ডট কম:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, আমি দুই টার্মেই এলাকায় সততা নিয়ে কাজ করেছি, মন্ত্রণালয়েও সততার সঙ্গে কাজ করেছি। এ কারণেই আমাকে ভালবেসে এলাকার মানুষ বারবার আমাকে নির্বাচিত করেন। এবারও নৌকার পক্ষে আমি বহু সমর্থন পাচ্ছি। যেখানে যাচ্ছি পথসভা করলে তা জনসভা, জনসমুদ্র বা গণজোয়ারে পরিণত হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, এটা অব্যাহত থাকলে ৭ জানুয়ারি নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর ৩টি ওয়ার্ডের বিসিক এলাকা, মধুমিতা রোড, চেরাগআলী, দত্তপাড়া, বউ বাজার, জামাই বাজার, হাজির মাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাকালে বিভিন্ন পথসভা ও গণসংযোগে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
জাহিদ আহসান রাসেল আরো বলেন, প্রতিপক্ষ টাকা দিয়ে বস্তিবাসীর ভোট কিনে বস্তি দখল করতে চায়। বস্তি উচ্ছেদ করতে এলে বুলডোজারের সামনে শুয়ে পড়ব। কোনোভাবেই বস্তি উচ্ছেদ করতে দেব না। তিনি বলেন, যাদের মদ ছাড়া চলে না, তারা কিভাবে মাদকমুক্ত করবে?
প্রতিমন্ত্রী রাসেল আরো বলেন, একটি চক্র ভোট কিনতে চায় টাকা দিয়ে। টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি না করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাই। বস্তি উচ্ছেদ করতে এলে বুলডোজারের সামনে শুয়ে পড়ব।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গাজীপুরে বেকার যুব/যুবাদের প্রশিক্ষণের জন্য তিনটি যুব প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপন করেছি। এসব সেন্টারে তরুণ বেকারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখান থেকে প্রতি বছর বহু বেকার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে চাকুরি এবং আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো বেশি বেকারদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে পারাটা আমার অনেক ভালো লাগে, আমি শান্তি পাই। মনে প্রাণে ভালবেসে এলাকাবাসীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি।
এসব নির্বাচনী সভায় আরো বক্তব্য দেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাড. আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, নুরুল ইসলাম নুরু, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল রহমান প্রমুখ।