গণবাণী ডট কম:
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিবন্ধীদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরা নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। এজন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। মঙ্গলবার ( ২৩ জানুয়ারী) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে অবস্থিত শারিরীক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাষ্ট মৈত্রী শিল্প পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এসময় আরো বলেন, আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। তাই আমি ঘুরে ঘুরে দেখছি। কোথায় কি আছে, কি লাগবে তা পর্যবেক্ষণ করছি। টঙ্গীতে দেখলাম প্রতিবন্ধীরা ভালো প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা ভালো ও গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। এই সব পণ্য সকল সরকারী দপ্তরে সরবরাহ করা যেতে পারে। এতে এই শিল্প একটি অধিক লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হতে পারে। যেটা সমাজ কল্যাণ সেটা আমাদের কাজ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীরা যে ভাতা পান তা তাদের চলার জন্য নয়। মূলত প্রতিবন্ধীরা সরকারী ভাতার পাশাপাশি তাদের পরিবার ও পরিজনের সহযোগিতায় চলবে। মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের ভাতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার জন্য সরকার কাজ করছে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার পুন:ব্যক্ত করেন।
এর আগে মন্ত্রী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইউনিট ও বিভাগ ঘুরে দেখেন। এসময় মন্ত্রী প্রতিষ্ঠানের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে তিনটি বিভাগে মৈত্রী শিল্পের কার্যক্রম চলছে। বাকি পাঁচটি বিভাগে শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। মৈত্রী শিল্পের মুক্তা পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আরো একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের আবাসন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন, শারিরীক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাষ্ট মৈত্রী শিল্প টঙ্গীর নির্বাহী পরিচালক মো: সেলিম খান (যুগ্ম সচিব), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মেহেদী হাসান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, কারখানা ব্যবস্থাপক মহসিন আলীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, গাজীপুর মহানগর এর টঙ্গীতে ১৯৮৩ সালে শারিরীক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাষ্ট মৈত্রী শিল্প নামে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় ১২০টি প্লাস্টিক পণ্য ও বিভিন্ন সাইজের মুক্তা পানি এখানে উৎপাদিত হয়। এখানে কর্মরত প্রায় ২৫০ জনের মধ্যে ৯৭% প্রতিবন্ধী কাজ করে।