নিজস্ব প্রতিবেদক,কাপাসিয়া (গাজীপুর):
মহিলা ও্ শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি বলেছেন, খেলা ও বিজ্ঞান দুটি আমাদের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান আমাদের সুস্থ রাখে আর খেলাধুলা মনকে প্রফুল্ল রাখে। সাইকেল চালানো ব্যাডমিন্টনসহ যে খেলাগুলো রয়েছে, তা আমাদের শরীর ও মনকে প্রশান্তি দেয়।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাপাসিয়া ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, তোমাদের দায়িত্বশীল নাগরিক হতে হবে। নিজেকে নিজের ও দেশের জন্য স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলবে। এখন বিজ্ঞান বিষয়ের পড়ানোর ভালো শিক্ষকের অভাব রয়েছে। তাই তোমরা বিজ্ঞান শিক্ষার দিকে মনোযোগী হবে। আগামীর নাগরিক হওয়ার জন্য শুধু লেখাপড়া না, শুধু বই পড়া না, বইয়ের বাইরেও আমাদের আরো বেশি জানতে হবে। এই জানা নিজের জন্য, জীবনের জন্য, সমাজের জন্য।
তিনি আরো বলেন, তোমরা নিয়মের বাইরে চলে যেও না। নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে। নিয়মের বাইরে গিয়ে যেমন পৃথিবী চলে না। তোমরা বিজ্ঞানীদের জীবনী পড়বে। এতে করে তোমরা উদ্বুদ্ধ হবে। তাঁদের জীবনী থেকে তোমরা জানতে পারবে তারা কিভাবে গবেষণা করেছে। বিজ্ঞান মেলায় যারা অংশগ্রহণ করেছ তারা কয়েকজন মিলে প্রজেক্ট তৈরি করেছ। একটি দল তৈরি করে প্রজেক্ট তৈরি করেছ। এটা একটা শিক্ষা। অনেকে মিলে কাজ করলে সমাজকে বদলে দেয়া যায়। শান্তির জন্য সকলে সঙ্গবদ্ধ থাকো। একসাথে থাকো। লেখাপড়া কর। খেলাধুলা কর। জীবনে বড় হওয়ার জন্য চেষ্টা কর।
আয়োজকরা জানান, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেলা আয়োজন করা হয়। উপজেলায় মোট ১১টি কলেজ, ৭৩টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৬৫ টি মাদ্রাসা রয়েছে। কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা মিলিয়ে মোট ১৪৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় মাত্র চারটি কলেজ ও নয়টি উচ্চ বিদ্যালয় মিলিয়ে মোট ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের আগ্রহ ও উদ্দীপনা না থাকায় বাকিরা অংশগ্রহণ করেনি। এরকম চিত্র প্রতিবছরই দেখা যায়। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চায় না। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করায় তারা বাস্তব শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ে থাকছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই এই ধরনের শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা।
দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমানত হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা সরকার।
মেলায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে উচ্চ বিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে প্রথম হয়েছে কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় হয়েছে ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও তৃতীয় হয়েছে হরিমঞ্জরী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। কলেজ পর্যায়ে প্রথম হয়েছে বর্ণমালা কলেজ, দ্বিতীয় হয়েছে কাপাসিয়া সেন্ট্রাল কলেজ, তৃতীয় হয়েছে আলহাজ্ব রেজাউল হক মহিলা কলেজ।