কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা
কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নে ‘ডায়মন্ড এগস লিঃ’ নামে এক মুরগি খামারীকে পরিবেশ দূষণের দায়ে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট শাখায় শোনানী শেষে এ জরিমানা ধার্য করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে টোক ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামে আনুমানিক ২ শত বিঘা জমিতে প্রায় ২০ লাখ লেয়ার মুরগী পালনের জন্য ডায়মন্ড এগস লিঃ নামে একটি খামার প্রতিষ্ঠা করেন ব্যবসায়ী কায়সার আহমেদ। কিন্তু পোল্ট্রি খামারের নিষ্কাশিত পানি ও বর্জের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না করে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিনিয়ত আশ পাশের জমিতে ফেলা হচ্ছে। বর্জ ও নিষ্কাশিত পানি অপসারণের ফলে শত শত বিঘা জমিতে এখন আর কোন ধরনের ফসল উৎপাদিত হচ্ছে না। রাতের আঁধারে আশ পাশের খোলা জায়গায় হাজার হাজার ব্রয়লার মুরগীর বর্জ ফেলে রাখাতে দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে আশপাশের প্রায় ১৫ গ্রামের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির জেনারেটরের বিকট শব্দে পড়ালেখা বন্ধের উপক্রম হচ্ছে আশ পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। এসব বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে স্থানীয় লোকজন একাধিক অভিযোগ দেয়। এবিষয়ে দৈনিক ইত্তেফাক, গণবাণী ডট কমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত জুন মাসে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শেখ মোজাহিদ সরেজমিন পরিদর্শনে শেষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠান। তারই ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ‘ডায়মন্ড এগস লিঃ’ কর্তৃপক্ষকে ঢাকায় শোনানীর জন্য তলব করা হয় এবং শুনানী শেষে এ জরিমানা ধার্য করা হয়।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শেখ মোজাহিদ জানান, বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট শাখায় শুনানী শেষে পরিবেশ দূষণের দায়ে ‘ডায়মন্ড এগস লিঃ’ কর্তৃপক্ষকে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।
তবে, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক কায়সার আহমেদ জরিমানার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জরিমানাটি কয়েকদিন আগে করা হয়েছে।