গণবাণী ডট কম:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই শুনানি শুরু হয়। শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করে প্রশাসন। দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ১৪ নভেম্বর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে ১৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামিন আবেদনটি আপিল বিভাগে কার্যতালিকাভুক্ত হয়।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভরত জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নেন দলটির নেতাকর্মীরা। তারা দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকলে দুপুর ২টার দিকে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথ, আশপাশে ও আদালত চত্বরের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের আদালত চত্বরে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন