গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের সালনা থেকে অপহৃত তৈরী পোশাক কর্মী মো: সুজন মিয়াকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১ সদস্যরা। এসময় অপহরণচক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদের নিকট থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
অপহৃত সুজন মিয়া শরিয়তপুর জেলার ঝাজিরা উপজেলার কাজিয়াচর রারিকান্দি গ্রামের দুলু শেখের ছেলে। সে স্থানীয় একটি তৈরী পোশাক কারখানার শ্রমিক।
আটককৃত অপহরণকারীরা হলো, মো. ইমরান হোসেন, মো. রিপন মিয়া, মো. মাসুদ রানা ও মো. মাসুদ রানা।
র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন গণমাধ্যমকে জানান, অপহৃত মো. সুজন মিয়া পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। সে গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় গার্মেন্টস ছুটির পর দক্ষিণ সালনায় তার বোনের বাসার যাবার জন্য রওনা করে। পথে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক সালনা বাসষ্ট্যান্ড হতে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে চোখ বেধে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রাখে। অপহরণের পর তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। অপহরণকারী সুজনকে দক্ষিন সালনা এলাকায় একটি কক্ষে আটকে রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে এবং কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভীতি প্রদর্শণ করে। গত ১৩ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় তারা ভিকটিমকে হত্যা করবে বলে জানায়। পরে রাতে সুজনের দুলাভাই মো. আহেদ আলী রানা র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী, পোড়াবাড়ী ক্যাম্প, গাজীপুর এসে অপহৃত সুজনকে উদ্ধারের জন্য আইনগত সাহায্য কামনা করে।
অপহরণের ঘটনাটি অবহিত হওয়া মাত্রই অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য র্যাব-১ সদস্যরা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পর ভিকটিমের পরিবার এর লোকজন জানতে পারে সদর থানার দক্ষিন সালনা এলাকায় অপহরণকারীরা ভিকটিমসহ মুক্তিপণের টাকা নেয়ার জন্য অবস্থান করছে। খবর পেয়ে আভিযানিক দলটি শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ সালনা বাজার এলাকায় অভিযান চালায় এবং অপহৃত সূজন মিয়াকে দক্ষিন সালনার একটি গোপন কক্ষ হতে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণ চক্রের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় অপহরণকারীদের নিকট থেকে ১টি চাপাতি,২টি সুইচ গিয়ার চাকু,৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।