গণবাণী ডট কম:
জাল দলিলের মাধ্যমে নামজারি ও জমাভাগ (খারিজ) করার অপরাধে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক প্রতারক মো. সামসুল হক (৫৫) গাজীপুর মহানগরের শরীফপুর (সোন্ডা) এলাকার আয়েত আলীর ছেলে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মহানগরীর শরীফপুর (সোন্ডা) এলাকার বাসিন্দা মো. সামসুল হক ও ঢাকার নয়া টোলার (পূর্ব) চেয়ারম্যান গলি এলাকার মো. আব্দুর রহমানের নামে দুইটি সই মোহরকৃত দালিলের মাধ্যমে বাসন ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে এসি ল্যান্ড অফিসে স্থানীয় ইসলামপুর মৌজার খ’ তফসিলভুক্ত ১ একর ৩৬ শতাংশ জমির নামজারি ও জমাভাগের দুইটি নথির প্রস্তাব আসলে যথারীতি নামজারি ও জমাভাগও সম্পন্ন হয়ে যায়। পরে জানা যায় যে দলিল দুইটির মাধ্যমে ওই জমির নামজারী জামাভাগ সম্পন্ন হয়েছে তা ছিল জাল। পরবর্তীতে দলিল দুটির সত্যতা জানার জন্য ঢাকা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পাঠানো হলে, তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দলিল দুটির তথ্য ভলিয়মের তথ্যের মিল নেই। দলিল দুইটির দাতা, গ্রহিতা ও তফসিলের কোন মিল নেই। দলিল দুইটি সম্পূর্ণ জাল ও জালিয়াতি করে তৈরি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মো. বিবাদি সামসুল হকের উপস্থিতিতে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া পারভেজ ওই বিষয়ে শুনানীকালে প্রমাণিত হয় ওই জালিয়াতির সঙ্গে সামসুল হক জড়িত। পরে তাকে আটক করে গাজীপুর সদর থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরে গাজীপুর সদর উপজেলা ভূমি) অফিসের অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক (নাজির) মো. ইমরান হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গাজীপুর সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, জলিয়াতির তথ্য জানার পর সঙ্গে সঙ্গে নথি দুইটির নামজারি ও জমাভাগ বাতিল করা হয়েছে। এরসঙ্গে ভূমি অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।