গণবাণী ডট কম:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে একদিনেই ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০৪ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চীন ইউরোপিয় ইউনিয়নভূক্ত দেশ গুলোর কাছে চীন সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার আহবান জানিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীনের সঙ্গে বিমান ও সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বেইজিং সরকার এর সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ চীন সফররত বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। খবর : সিসিটিভি, বিবিসি ও রয়টার্সের।
চীনের বাইরে বিশ্বে ১৩৭ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হুবেই প্রদেশে নববর্ষের ছুটি ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এমনকি জনসমাগম এড়াতে বিবাহও নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে। যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ থাকায় খাবার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে ৩০ কোটির বেশি মুরগি মৃত্যুর পথে।
বাইরের বিশ্বে আক্রান্ত ও প্রতিক্রিয়া :
জাপান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা, ইতালি, রাশিয়া, ব্রিটেন, কম্বোডিয়া, ফিনল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ফিলিপাইন্স ও শ্রীলঙ্কা সরকার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়া চীন থেকে আগতদের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। একই পদক্ষেপ নিয়েছে জাপান, পাকিস্তান ও ইতালি। সিঙ্গাপুর চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর হংকংও একই ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভিয়েতনাম এয়ারলাইন্স চীন, হংকং ও তাইওয়ানে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। একইভাবে কাতার এয়ারওয়েজ, কান্তাস, এয়ার নিউজিল্যান্ড, এয়ার কানাডা ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ চীনে ফ্লাইট স্থগিত রেখেছে। প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল চীনে তাদের সব শো-রুম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বখ্যাত হোটেল হায়াত, র্যা ডিসন ও হিলটন চীনে তাদের অতিথিদের ভ্রমণ বাতিল করেছে। যুক্তরাজ্য তাদের দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারত ও থাইল্যান্ড চীন থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছে। মিয়ানমারও বিশেষ বিমান পাঠাচ্ছে।
চীনের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে নাগরিকদের সতর্ক করতে রাস্তায় ড্রোন ওড়ানো হচ্ছে। মাস্ক না পরার জন্য ড্রোন (মনুষ্যবিহীন যান) থেকে ভর্ত্সনা করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।