গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটকের পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে মঙ্গলবার রাতে ইয়াসমিন বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াসমিন বেগম গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা এলাকার আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশি নির্যাতনে ইয়াসমিনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: মনজুর রহমান আটক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নিহতের ছেলে জিসান ও বোন ফারজানা বেগম সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেন, গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় সাদা পোশাকের পুলিশ আব্দুল হাইকে খোঁজাখুঁজি করে। তারা আব্দুল হাইকে না পেয়ে এক পর্যায়ে ইয়াসমিন বেগমকে মারধর করে আটক করে নিয়ে যায়।
জিসান আরো অভিযোগ করেন, রাত ১১টার দিকে তিনি তার মা’র (ইয়াসমিনের) মোবাইলে ফোন দিলে অজ্ঞাত ব্যাক্তি ফোন রিসিভ করে প্রথমে গাজীপুর মহানগর ডিবি কার্যালয়ে এবং পরে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলেন। পরে হাসপাতালে গিয়ে তিনি তার মার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। তিনিসহ স্বজনরদের অভিযোগ পুলিশের নির্যাতনে ইয়াসমিনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মো: মনজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ইয়াসমিন ও তার স্বামী মাদক ব্যবসায়ী। অভিযান চালিয়ে একশ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও ইয়াসমিনের নামে দুইটি এবং তার স্বামীর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। আটকের পর ইয়াসমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রæত তাকে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করার হলে তাকে ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতির সময় তিনি মারা যান। পুলিশের এ কর্মকর্তা তাকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম জানান, রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে মহানগর ডিবি পুলিশ ইয়াসমিনকে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টসহ এ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার হৃদরোগ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু ঢাকা নিতে দেরি হওয়ায় এক পর্যায়ে রাত ১১টা ২০মিনিটের দিকে এ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন, নিহতের ছেলে তাকে জানিয়েছে আগেও ইয়াসমিন স্ট্রোক করেছিল। নিহতের হার্টে দুটি ব্লক ছিল।