গণবাণী ডট কম:
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. তরিকুল ইসলামের নির্দেশে জেলার জয়দেবপুর ও শ্রীপুরে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে। এসময় কয়েকটি দোকানের মালিককে জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর বাজারে বিভিন্ন দোকানে বুধবার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ৮টি দোকান মালিককে বিভিন্ন ধারায় ৯৮ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জানান, ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন- ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের জন্য মানিক বস্ত্রালয়কে ১৫ হাজার টাকা, ঢাকা স্টাইল টেইলার্স এন্ড ফেব্রিকসকে ৫ হাজার টাকা, দুলাল সুইটমিট এন্ড কনফেকশনারিকে ২০ হাজার টাকা, রসের মিষ্টিকে ৩৫ হাজার টাকা, মের্সাস রাফি এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার টাকা এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন- ২০১০ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গ করায় প্রান্ত এন্ড ব্রাদার্সকে ৫ হাজার টাকা, পঙ্কজ ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা এবং দুলাল ট্রেডার্সের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে বিএসটিআই ইন্সপেক্টর ও পাট অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টরগণ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সেলিম মোড় এলাকায় শ্রীপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ শামসুল আরেফিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন l এ সময় গোখাদ্য হিসেবে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির উচ্ছিষ্ট, পরিত্যক্ত ও ক্ষতিকর তুলা বিক্রির অভিযোগে মকবুল নামে একজনকে হাতেনাতে ধরা হয়। তাকে মৎস্য খাদ্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০ এর আওতায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ প্রাপ্ত উচ্ছিষ্ট তুলা জব্দ করা হয়। এছাড়া তারেক নামক অপর ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান উচ্ছিষ্ট তুলা, তুলা মেশানোর মেশিন ও জেনারেটর জব্দ করা হয়। অভিযানের পূর্বেই তারেক পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় আশেপাশে উপস্থিত জনগণকে উচ্ছিষ্ট তুলা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হলে পশু স্বাস্থ্য, মানব স্বাস্হ্য ও পরিবেশের উপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তার সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।