গণবাণী ডট কম:
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরো একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জনে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে
দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। ফলে দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ জন অপরিবর্তিত রয়েছে। এদের মধ্যে মোট ৭জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭ জন।
বুধবার ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নে জবাবে তিনি বলছেন, ” আমরা দুইটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করছিলাম। এখন পর্যন্ত সেখানে সংক্রমিত হওয়ার উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি। সে কারণে সীমিতভাবে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি। কিন্তু কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন বলার আগে আগে আমাকে বিস্তারিত তথ্যের বিশ্লেষণে বলতে হবে।”
”লিমিটেড স্কেলে যে এলাকাটির কথা আমরা বলছি, সেখানে লোকাল ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে ভেবে আমরা ওই এলাকাটিকে আমরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে সেটা প্রতিরোধ করার কার্যক্রম নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, তবে এখন পর্যন্ত এটা সারা বাংলাদেশব্যাপী ট্রান্সমিশন হয়েছে, এরকম কোন পরিস্থিতি এখনো হয়নি।”
তিনি আরো বলেন, যিনি মারা গেছেন, তিনি ১৮ মার্চ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি তাঁর এলাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২১ তারিখ থেকে তাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাঁর বয়স ছিল ৬৫। তাঁর ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশন ছিল।
বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৭জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৪৭জন।
করোনাভাইরাসের পরীক্ষার কেন্দ্র আরো বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালসহ ঢাকার বাইরের কয়েকটি হাসপাতালে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আইইডিসিআরের যোগাযোগের জন্য ০১৯৪৪৩৩৩২২২ অথবা ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এখান থেকে হান্টিং নম্বরের মাধ্যমে অন্যান্য নম্বরে টেলিফোনটি চলে যাবে। এছাড়া ১৬২৬৩ নম্বরেও যোগাযোগ করা যাবে।
তিনি আবারো স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়গুলো মেনে চলার অনুরোধ করেন।