গণবাণী ডট কম:
দেশে করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ জনে। অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫৮ জন। ফলে দেশে সর্বমোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো ৪৮২ জনে। একদিন আগের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকার তিনটি স্থানে সাড়ে চার হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতালকে করোনাভাইরাস চিকিৎসার আওতায় আনার কথা তিনি জানান।
তবে, এখনও অনেক মানুষ ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনা না মানছেনা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারায়নগঞ্জের অনেক বাসিন্দা দেশের অন্যান্য জেলায় গিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন অবস্থায় সংক্রমণের সংখ্যা আবারও বেড়ে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৯৫৪ জনের এর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নতুন আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪৮ জন এবং নারী ১০ জন। ১৪ ঢাকার বাসিন্দা এবং নারায়ণগঞ্জের ৮ জন রয়েছেন। বাকীরা দেশের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
গত ২৩ ঘন্টায় আরো ৩ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ঢাকার এবং দুজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা । তাদের বয়স ৩৮, ৫৫ এবং ৭৪ বছর।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যতোজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২২% শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের হার ১৯%। এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হারও ১৯ ভাগ। মোট আক্রান্তের ৭০ ভাগই পুরুষ, এবং ৩০ ভাগ নারী। আক্রান্ত ৪৮২ জনের মধ্যে ৫২% মানুষের বসবাস ঢাকায়।
৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যুর খবর আসে এর দশদিন পর অর্থাৎ ১৮ই মার্চ। এরপর তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ১০০ জনের কম রোগী শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে। ভাইরাসটি কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়লেও সেটা এখনও ক্লাস্টার আকারে রয়েছে।