গণবাণী ডট কম:
বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ২৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬১০। মারা যাওয়া ২৮ জনের মধ্যে ২৬ জন হাসপাতালে ও দুইজন বাসায় মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকায় ১৮ জন, চট্টগ্রামে ৭ জন, রংপুরে ২ জন এবং সিলেটে ১ জন মারা গেছেন। আর এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬১০ জনের মধ্যে ৭৫ ভাগই পুরুষ। দেশে করোনায় মৃত্যুর আনুপাতিক হার ১.৩৭ ভাগ।
অপরদিকে, দেশে নতুন করে আরো ১ হাজার ৭৬৪ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য জানা গেছে। এনিয়ে দেশে মোট ৪৪ হাজার ৬০৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭.৬৬%। শনাক্ত হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রেও পুরুষের হার বেশি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস রোগীর মধ্যে ৭১ শতাংশই পুরুষ।আর আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে ২১তম দেশ বাংলাদেশ।
শনিবার (৩০ মে) দুপুরে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিন এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬০ জন সুস্থ হয়েছেন, আর মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৯,৩৭৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.০২%।
২৯শে মে পর্যন্ত সঙ্কলিত তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়সভিত্তিক বিন্যাস প্রকাশ করেন নাসিমা সুলতানা।
সেই তথ্যে উঠে আসে যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৭৩ ভাগের বয়সই ২১ থেকে ৫০-এর মধ্যে।
তবে কোভিড-১৯ এ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের প্রায় ৭০ ভাগের বয়সই পঞ্চাশের বেশি।
গত কিছুদিনে বাংলাদেশে নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে।
তবে, বাংলাদেশে গত কয়েকদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আশংকাজনক হারে বাড়লেও সরকার সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আগামীকাল (৩১শে মে) থেকে খুলছে সরকারি বেসরকারি অফিস। সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী বহণ করার শর্তে চালু হচ্ছে গণপরিবহণও।
জন হফকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্যানুসারে আজ দুপুর ২টা ৫০ পর্যন্ত সারা বিশ্বে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২। অন্যদিকে মারা গেছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫১ জন।