তৌহিদুর রহমান:
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন মো. আবু বকর মিঞা (বাক্কু)। এই ইউনিয়নের নির্বাচনে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করায় এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু বকর মিঞা (বাক্কু) আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেয়ার পর এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আটবারের মত ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন এই নৌকার মাঝি। তিনি নিজের সততা, ন্যায় বিচার, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও মানুষের বিপদে পাশে থাকার মাধ্যমে তুমুলিয়া ইউনিয়নের সর্বসাধারণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। তিনি এর আগে এই ইউনিয়ন থেকে একবার মেম্বার ও টানা ৭ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারিজা নূর জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিলো। যার মধ্যে তুমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের জন্য দুইজন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আবু বকর ও জাকের পার্টির মনোনীত মো. মনিরুজ্জামান। তবে রবিবার (২১ মার্চ) জাকের পার্টির মনোনীত প্রর্থী মনিরুজ্জামান অসুস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। আমরা তার আবেদন গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও জানান, আগামী বুধবার (২৪ মার্চ) চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিনে তুমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌকার প্রার্থী যদি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন, তবে নিয়ম অনুযায়ী ১১ এপ্রিল শুধু মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে উপজেলার তফসিল ঘোষিত বাকি ইউনিয়নগুলিতেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে আবু বকর বাক্কু বলেন, ইউনিয়নবাসীর ভালোবাসায় আমি একবার মেম্বার ও টানা সাতবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। জনসাধারণের কাছে আমি ঋণী, তাই সবসময় চেষ্টা করি তাদের জন্য কাজ করার। ইনশাআল্লাহ্ এবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবা করার সুযোগ পাবো। যতদিন বেঁচে থাকবো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনীক ও জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে রাজনীতি শুরু করি। প্রায় ২০ বছর ধরে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছি।
ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুছ ভূঞা (৭২) বলেন, বাক্কু চেয়ারম্যান আমার ছোট ভাইয়ের মতো। সে ছোট বেলা থেকেই খুব হাসি খুশি ও পরিশ্রমী ছিলো। মানুষের বিপদ-আপদের খবর পেলেই ছুটে যেতো। সেই থেকে আমাদের ইউনিয়নের মানুষের কাছে বাক্কু এক আস্থা ও ভালোবাসার নাম। দলমত নির্বিশেষে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকলের প্রিয় ব্যক্তি তিনি।
চেয়ারম্যান সম্পর্কে জানতে চাইলে সবুজ কাজী (২৮) নামে এক যুবক বলেন, আমরা চেয়ারম্যানকে যে কোন বিপদ আপদের সময় কাছে পাই। তিনি ইউনিয়নবাসীর কাছে একজন দক্ষ অভিভাবক , ন্যায় ও নিরপেক্ষ বিচারক। এ কারণেই অত্যন্ত প্রিয় চেয়ারম্যান তিনি।
১০ আগষ্ট ১৯৫৬ সালে তুমিলিয়া ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ড, বাড়িয়াখালী গ্ৰামে বাবা হাবিবুর রহমান ও মা খোদেজা রহমানের ঘরে জন্মনেন আবু বকর বাক্কু। ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আবু বকর বাক্কু চেয়ারম্যান পঞ্চম।