নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর):
গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাজউদ্দীন চত্বরের নৈশ প্রহরী রেহান উদ্দিনকে কথিত আত্মীয় পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে আলাপের সূত্রে দাওয়াত দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আটকে মুক্তিপণ দাবীর অভিযোগে মা ছেলে ও জামাতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। এসময় অপহৃত রেহান উদ্দিন (৫০) কে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া রেহান উদ্দিন কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঘিঘাট গ্রামের মৃত আ: সামাদের ছেলে। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত তাজউদ্দীন চত্তরের নৈশ প্রহরী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার মৃত আ: মতিনের স্ত্রী বিলকিছ বেগম, ছেলে আশিক ও জামাতা মোবারক।
পুলিশ ও অপহৃতের স্বজনেরা জানায়, রেহান উদ্দিনের সাথে মিথ্যা আত্মীয়তার পরিচয়ে আসামী বিলকিছ বেগম মোবাইল ফোনে কথা বলত। আলাপের সময় বিলকিছ রেহান উদ্দিনকে জামালপুরে তাদের বাড়ীতে বেড়াতে যাবার জন্য নানাভাবে দাওয়াত দিত। সেই দাওয়াত রক্ষা করতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ডিউটি শেষে রেহান উদ্দিন বিলকিছের বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর বিলকিছের ছেলে আশিক মোবাইল ফোনে রেহান উদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলামকে ফোন করে রোন উদ্দিনকে অপহরণের কথা জানিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। পরে খায়রুল বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে। এ বিষয়ে খায়রুল থানায় সাধারণ ডায়রী করলে ওসির নির্দেশে থানার এসআই আশরাফ ও এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জামালপুর যায়। তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওসির সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনায় অপহৃত রেহান উদ্দিনকে পুলিশ এক পর্যায়ে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং আশিককে আটক করা হয়। পরে আশিকের দেয়া তথ্যমতে এ চক্রের অপর দুই সদস্য আশিকের মা বিলকিছ ও ভগ্নিপতি মোবারককে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে খাইরুল ইসলাম বাদি হয়ে শনিবার কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জামালপুরের পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় এ চক্রটি প্রায়ই এ জাতীয় অপকর্ম করে থাকে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।