গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো: শহিদুল্লাহ শহিদ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে, তাঁর মৃত্যুতে আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন করে তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্ধারিত সময়েই (২৮ ডিসেম্বর) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ বিকেলে গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ এক গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে মেয়র পদে নির্বাচন স্থগিত করেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমিত হয়ে রাজধানীর উত্তরায় হাই কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শহিদুল্লাহ শহিদ। অবস্থার অবনতি হলে গত সোমবার তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শহিদুল্লাহ শহিদ অ্যাজমা, যক্ষ্মা বা টিবি লিম্ফেডিনাইটিস ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। চিকিৎসায় যক্ষ্মা থেকে সেরে ওঠেছিলেন তিনি। তফসিল ঘোষণার পর জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ সভায় মেয়র পদে শহিদুল্লাহ শহিদকে মনোনীত করে তাঁর নাম দলটির কেন্দ্রে পাঠায়। এরই মধ্যে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরে দলের কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁর পক্ষে বিএনপি নেতারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন। গত ৩ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন।
গত ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনেও বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ছিলেন শহিদুল্লাহ শহিদ।
শহিদুল্লাহ শহিদ শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ বাদ এশা মাওনা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার পর পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
মেয়র পদে নির্বাচন স্থগিত:
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ কালের কণ্ঠকে জানান, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা আইন ২০১০ (সংশোধিত) অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের আগে বৈধভাবে মনোনীত কোনো প্রার্থী মারা গেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট পৌরসভার সংশ্লিষ্ট পদের নির্বাচন কার্যক্রম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থগিত করেন। তাই আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। তবে কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।