গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় র্যাব-১ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ৬৩০ গ্রাম হেরোইনসহ আন্ত: জেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্ধ করা হয়েছে।
গ্রেফতকাতৃকরা হলো, মোঃ মোশারফ (২৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার লক্ষীপুর জামাদারপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আব্দুর রহিমের ছেলে। অপরজন মোঃ তরিকুল ইসলাম (২৩)। তিনি একই জেলার লক্ষীপুর (খানসাহেব পাড়া) গ্রামের মৃত রেজাউল খানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-১ এর কোম্পানী কমান্ডার, সিপিসি-২ অধিনায়কের পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, উত্তরা র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে যে, মাদক কারবারী চক্রের কতিপয় সদস্য মাদকদ্রব্য হেরোইনের একটি বড় চালান চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গাজীপুর হয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে আসছে। এমন তথ্য পাবার পর র্যা ব-১ মাদক ব্যবসায়ী চক্রটিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। মাদক দ্রব্যের চালানটির গতিবিধি অনুসরণ করার লক্ষ্যে গেল বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় র্যাবর আভিযানিক দলটি গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে সিডিএল ভবনের সামনে পাকা রাস্তার উপর বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে। এসময় একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে আন্তঃ জেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য মোঃ মোশারফ ও মোঃ তরিকুল ইসলাম কে গ্রেফতার করে। পরে ধৃত আসামীদের নিকট হতে ২ কেজি ৬৩০ গ্রাম হেরোইন, ১টি ট্রাক, ৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩ হাজার ৩শ টাকা উদ্ধার করা হয়। ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্ধ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ধৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের অন্য সহযোগীরা চাঁপাইনবাবঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে হেরোইন দেশে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে হেরোইনের চালানগুলো কৌশলে বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়িতে করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করে থাকে। বর্ণিত হেরোইনের চালানটি একটি চাউলবাহী ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে আসছিল। এই চক্রের অন্যতম সদস্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জনৈক মাদক ব্যবসায়ী। সে অবৈধভাবে হেরোইনের চালান দেশে নিয়ে আসার পর ধৃত আসামীদের মাধ্যমে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় নিয়ে এই সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের নিকট পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করত বলে জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।