গণবাণী ডট কম:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে এ পর্যন্ত তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গেল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের কক্ষে মুশতাক আহমেদ অচেতন হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার আকস্মিক এই মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে।
শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটিকে আগামী ৪ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তরুণ কান্তি শিকদারকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম, কারা উপ-মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর জেলা কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. কামরুন নাহার। সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব আরিফ আহমদ কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ কমিটিকে সুনির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার গাফিলতি ছিল কি-না, যদি থাকে তবে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এই বন্দি কারাগারে আসার পর তার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিলেন কি-না? যদি থাকেন তবে সে বিষয়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি-না? যদি না হয়ে থাকে তাহলে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই কমিটিকে।
এদিকে কারা কর্তৃপক্ষ একজন ডিআইজি প্রিজন্সকে প্রধান করে ২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া গাজীপুর জেলা প্রশাসন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন—গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।