গণবাণী ডট কম:
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সূচনালগ্নে প্রথম ধাপে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম প্রকাশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তালিকা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী গাজীপুরের ৫ উপজেলায় ২ হাজার ৬শ ৮৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী গাজীপুরের ৫ উপজেলার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি গাজীপুর সদর উপজেলায় ৮২৯ জন, এরপর যথাক্রমে কাপাসিয়ায় উপজেলায় ৫৯৭ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৫৮৯ জন, শ্রীপুর উপজেলায় ৪৫৮ জন এবং কালিয়াকৈর উপজেলায় ২১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
তালিকা প্রকাশের সময় মন্ত্রী বলেন, আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় তৃণমূল হতে তদন্তের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে কাজ করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথম পর্যায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জনের তালিকা প্রকাশ করছি। এর মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ৪ নেতা, বরিশালে ১২৫৬৩, চট্টগ্রামে ৩০০৫৩, ঢাকা ৩৭৩৮৭, ময়মনসিংহ ১০৫৮৮, খুলনা ১৭৬৩০, রাজশাহী ১৩৮৮৯, রংপুর ১৫১৫৮, সিলেট ১০২৬৪ জন। এছাড়াও আর প্রথম ধাপে ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাদের নাম শুধু বেসামরিক তালিকায় আছে, তাদের নাম আপাতত প্রকাশ করা হবে না। এ ছাড়া জামুকার সুপারিশবিহীন যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই চলছে, তাদের নামও তালিকায় থাকছে না।
জানা যায়, লাল মুক্তিবার্তায় যাদের নাম রয়েছে, যারা ভারতীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, তাদের নিয়ে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে এবারের তালিকাটি প্রণয়ন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দাবি, এবারের তালিকা নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবহার করে এবারের তালিকা করা হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ফলে কোনো কারণে এই তালিকায় যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তারা ভবিষ্যতে প্রমাণ সাপেক্ষে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।