গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর সদর উপজেলাধীন রাজেন্দ্রপুরে পোশাক শ্রমিককে অপরহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার সময় স্থানীয় উত্তেজিত জনতার পিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় জয়দেবপুর থানার রক্ষিতপাড়া (রতন মুন্সীর বসত বাড়ির) পূর্ব পাশের জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রাকিব (২৭)। তিনি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার রুদ্রপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। তার নামে জয়দেবপুর ও শ্রীপুর থানায় দস্যুতাসহ ৪টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় পোশাক শ্রমিক হাসি আক্তার (১৯) বাদী হয়ে নিহত রাকিবসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করেছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পোশাক শ্রমিক হাসি আক্তার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় সহকর্মী পোশাক শ্রমিক ইলিয়াছ উদ্দিনকে সাথে নিয়ে তার ভাড়া বাসা থেকে রাজেন্দ্রপুর হালডোবা এলাকায় অপর সহকর্মীর বাসায় বেড়াতে যাচ্ছিল। এসময় একদল ডাকাত তাদের পথরোধ করে। পরে ওই ডাকাতেরা সহকর্মী ইলিয়াছ উদ্দিনকে মারপিট করে নারীর মুখে রুমাল চেপে ধরে স্থানীয় রক্ষিতপাড়া (রতন মুন্সীর বসত বাড়ির) পূর্ব পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে ডাকাতেরা হত্যার হুমকি দিয়ে জঙ্গলের ভিতর একটি গাছের সাথে আমার দুই হাত পিছমোড়া করিয়া রুমাল দ্বারা বাঁধে এবং আমার মুখ অপর একটি রুমাল দিয়ে বেঁধে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে। আমার সহকর্মী পোশাক শ্রমিক ইলিয়াছ উদ্দিন স্থানীয় লোকদের ঘটনা জানালে স্থানীয় শতাধিক জনতাকে নিয়ে ওই জঙ্গলের চারপাশ ঘেরাও করে। পরে তারা প্রধান আসামী রাকিবকে আটক করতে পারলেও তার সহযোগী অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা রাকিবকে গণধোলাই দিয়ে দুই চোখ উপড়ে ফেলে এবং তার দুই পা ভেঙ্গে ফেলে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার গণধোলইয়ের শিকার ডাকাতকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া গণপিটুনির ঘটনায় পুলিম বাদী হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।