গণবাণী ডট কম:
৭৬ বছর বয়সী বেলাল হোসেন ছদ্মবেশ ধারণ করতে দাড়ি রেখেছেন। বয়সের কারণে মাথার চুল ও দাড়ি পেকে গেছে। সাদা চুল ও দাড়িতে যত্ন করে মেহেদী লাগিয়েছেন। তাকে দেখে বুঝার উপায় নেই তিনি মাদক মামলায় দন্ডিত আসামী। এ বেশ ধারণ করে তিনি কিছুদিন পর পর পেশা ও জায়গা বদল করতেন। সর্বশেষ তিনি এ বেশ নিয়ে গাছা থানা এলাকায় একটি কারখানায় নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কিন্তু এতসব করেও শেষ রক্ষা হয়নি। মাদক মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড মাথায় নিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত আত্ম গোপন করে থাকার পর অবশেষে তিনি র্যারের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। বুধবার রাতে ঐ আসামীকে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
গ্রেফতার আসামী মোঃ বেলাল হোসেন (৭৬) নীলফামারী জেলার সৈয়য়দপুর থানা এলাকার মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলা নং ২১ (৫)১০ বিশেষ দায়রা মামলা নং-৩৫২/১৬ এ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার আসামী। তিনি মামলার রায়ের পর থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত পলাতক ছিলেন।
র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) মোঃ পারভেজ রানা বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, গত ১৪ জুন বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাওয়া যায়, ধৃত আসামী গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গেল বুধবার রাত সোড়ে ৯টার দিকে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত পলাতক আসামী মোঃ বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের ঐ কর্মকর্তা জানান, ধৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক এনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করতো। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা চলমান ছিল। বর্ণিত মাদক মামলায় আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর পরই সে আত্মগোপনে চলে যায়। সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে পালানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এবং ছদ্মবেশ ধারণ করে সেখানে আত্মগোপন করেছিল।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।