গণবাণী ডট কম:
ইমাম মাহমুদের কাফেলা নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের এক পলাতক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জঙ্গি সংগঠের সদস্যের নাম মাহতাব উদ্দিন (৩৫)। তিনি পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার কইজুরি শ্রীপুর গ্রামের হাবিব মন্ডলের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলার একজন পলাতক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার অপরাধ (উত্তর) আবু তোরাব মো: সামসুর রহমান জানান, চলতি বছরের আগষ্ট মাসে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা। অভিযানের সময় গ্রেফতার জঙ্গি সদস্য মাহতাব উদ্দিন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু ওই অভিযানে মাহতাবের স্ত্রী শাপলা বেগম গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে আদালতে জবানবন্দিতে শাপলা বেগম তার স্বামী মাহতাব জঙ্গি সদস্য এবং সে পলাতক বলে স্বীকার করে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতার মাহতাব ইসলামের স্ত্রী বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দি আছেন। এছাড়াও মাহতাবের শ্যালক মোহাম্মদ আল মামুনের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি আছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলার পলাতক সদস্য মাহতাব কাশিমপুর কারাগারে বন্দি তার স্ত্রী ও শ্যালকের সাথে সাক্ষাত করতে আসতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করি। বৃহস্পতিবার সকালে মাহতাব তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকে আসলে জিএমপির কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে পলাতক জঙ্গী সদস্য মাহতাবকে গ্রেফতার করে।
তিনি জানান, মাহতাবের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।