গণবাণী ডট কম :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু ও অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। আশা করি প্রশাসন অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখবে।
তিনি শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর হায়দারাবাদ এলাকায় নিজ পৈতৃক বাড়িতে পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবর জিয়ারত করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি আলাপ করেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী রাসেল জাহাঙ্গীরকে ইঙ্গিত করে ভোটের মাঠে কালো টাকা বিতরণের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে কালো টাকা বিতরণ সুষ্ঠু নির্বাচনে একটা বড় বাধা হবে। আমি মনে করি প্রসাশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’
এসময় জাহাঙ্গীর আলম ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারণে এ নির্বাচনে নৌকার ৩ জন প্রার্থীর বিরোধীতা করছেন কিনা জানতে চাইলে রাসেল বলেন, ‘এটা ওপেন সিক্রেট, এটা এখন সবাই জানে। তিনি যেভাবে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় প্রর্থীদের নাম নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন, এটা কোনভাবেই উচিত নয়। তিনি শুধু আমার বিরুদ্ধে না, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী মোজাম্মেল সাহেব, শহীদ ময়েজ উদ্দীনের কন্যা চুমকি আপার মতো শ্রদ্ধেয় মানুষদের নিয়েও কুৎসা করছেন। এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
রাসেল আরো বলেন, প্রতিমন্ত্রী থাকাবস্থায় ফুটবল, ক্রিকেট ও বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নয়ন কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে পরবর্তীতে তা আশানুরূপ হয়েছে। আগামীতে সাংবাদিক বান্ধব হয়ে জনকল্যাণমুখী জনবান্ধব কর্মসূচি নেওয়া হবে। আমার বাবা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার যেভাবে আপনাদের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন আমিও উনার আদর্শের ভিত্তিতে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাব। আপনাদের সহযোগিতা ও দোয়া থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
শহীদ আহসান উল্লাহ রুহের মাগফিরাত ও দোয়া কামনা করে তিনি বলেন, চার চার বার এমপি করেছে এলাকাবাসী। এমপি থাকাবস্থায় সব সময়ই আপনাদের পাশে থাকতে পেরেছি, যা মন্ত্রী হয়ে পারিনি। সেই জন্য ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভোট যুদ্ধে জয় পেলে শূন্যতা ভালোভাবেই পূরণ করে দেব ইনশাআল্লাহ।