গণবাণী ডট কম:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের সরকারি সফর শেষে আজ মঙ্গলবার ভোরে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-১২৮) মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরন করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খশরু, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বেসামরি বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মুহিবুল হক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছেড়ে আসা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (ইওয়াই-১০০) আজ স্থানীয় সময় গত রাত ৮টায় আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরন করে। আবুধাবিতে প্রায় তিন ঘন্টা যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-১২৮) গতরাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করেন। এ সময় আমীরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ সময় ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ফ্লাইটটি আবুধাবির উদ্দেশে নিউইয়র্কে জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী ইউএনজিএ’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরে ইউএনজিএ’র ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন। নিউইয়র্ককে তিনি সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি), পররাষ্ট্র সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, শিক্ষা ও বৈশ্বিক মাদক সমস্যা বিষয়ে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের স্পেশাল এডভোকেট ডাচ রানী ম্যাক্সিমা এবং বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার বিল গেটসসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেডিসেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের দেয়া এক সংবর্ধনায় সভায় যোগ দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা এবং যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী দু’টি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কার পান। এগুলো হচ্ছে-যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং টিকাদান কর্মসূচিতে বংলাদেশের ব্যাপক সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে যথাক্রমে ইউনিসেফের ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ ও জিএভিআই-এর ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার। খবর : বাসস।