গণবাণী ডট কম:
জাতীয় পতাকা উত্তোলন বিধিমালা ১৯৭২ অনুযায়ী সকল সরকারি অফিস সমুহে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করার বিধান থাকলেও গণপূর্ত অধিদপ্তরের গাজীপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না।
কয়েকজন সচেতন নাগরিক এমন অভিযোগ জানানোর পর রবিবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে গিয়ে দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ নিজ নিজ কক্ষে কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। কিন্তু তখনো জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্ট্যান্ড খালি পড়ে রয়েছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে ভিজিটিং কার্ড পাঠিয়ে প্রায় আধা ঘন্টা অপেক্ষার পর অনুমতি পেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়টি গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
পরে দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে পুনরায় গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদার এবং অন্যান্য লোকজনকে নিয়ে অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন করা হয়নি। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস থেকে বের হয়ে নীচে নেমে গাড়ী বারান্দায় তার গাড়িতে চড়ছেন। তখনো গাড়ী বারান্দার উপড়ে দন্ডায়মান জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডটি খালি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন বিধিমালা ১৯৭২ এর ৬ এর ১ উপধারায় বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন এবং অফিস সমূহ যেমন, রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সংসদ ভবন প্রভৃতি, সকল মন্ত্রণালয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সচিবালয় ভবনসমূহ, হাইকোর্টের অফিসসমূহ, জেলা ও দায়রা জজ আদালত সমূহ, বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার/কালেক্টর, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের অফিস সমূহ, কেন্দ্রীয় এবং জেলা কারাগারসমূহ, পুলিশ স্টেশন, শুল্ক পোস্টসমূহ, প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য ভবন এবং সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত ভবনসমূহে সকল কর্ম দিবসে “বাংলাদেশের পতাকা” উত্তোলন করা হইবে।
এই বিধি অনুযায়ী গণপূর্ত অধিদপ্তরের গাজীপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা। কিন্তু সেটি যথাসময়ে যথানিয়মে করা হয়নি।
এ বিষয়ে উপস্থিত কয়েকজন ঠিকাদার আলাপকালে জানান, এখানে বড়বাবু মাঝেমধ্যেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে ভুলে যান। এ কারণে জাতীয় পতাকা সবসময় উত্তোলন করা হয় না।
এ ব্যাপারে জানার জন্য গাজীপুরের গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম এর সাথে মোবাইল ফোনে ১২টা ৪৮ মিনিটে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে রিমাইন্ডার দিয়ে দিয়েছি, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল আর না করে। এখন থেকে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।