গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানার হাড়িনাল এলাকায় পারিবারিক কলহের কারণে গত ২৪ নভেম্বর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী। পরে বাড়ির উঠানে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়। ঘটনার একমাত্র সাক্ষী ঘাতক স্বামীর মা জোবেদা খাতুন। ঘটনার ১১ দিন পর অনুশোচনায় ভুগে নিজের ছেলেকে নিয়ে গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় থানায় হাজির হয়েছেন মা। বাধ্য করেছেন ছেলেকে আত্মসমর্পণ করতে। পরে তাদের কাছে ঘটনার বিবরণ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর নাম রেশমা (৩০)। তিনি নাটোরের আব্দুর রশিদের মেয়ে।
ঘাতক স্বামী হলেন, বেলায়েত হোসেন (৪০)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর সদর থানা দিন হাড়িনাল দক্ষিণ পাড়া আমজাদ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে সবজি বিক্রি করতেন। তিনি গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন বাড়িয় ইউনিয়নের পাকরিয়া এলাকার মৃত হুরমুজ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরীর হাড়িনাল এলাকায় সীমানা প্রাচীর ঘেরা একটি ভাড়া বাড়িতে মা ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন বেলায়েত হোসেন। গত ২৪ নভেম্বর স্ত্রীর সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বেলায়েত। হত্যার পর বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়ে স্ত্রীর লাশটি চাপা দেয়। এ ঘটনার পর মা ও ছেলে চুপচাপ থাকে। পরবর্তীতে অনুশোচনা ভুগতে থাকেন মা। সে কারণে গত ৪ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে নিজের ঘাতক ছেলেকে সাথে নিয়ে জিএমপি সদর মেট্রো থানায় আসেন মা। এ সময় মা ও ছেলে হত্যার ঘটনা বিস্তারিত বলেন। পরে আত্মসমর্পণ করেন ছেলে। পরে রাতেই পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়া ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে ছেলেকে সাথে নিয়ে তার মা জোবেদা খাতুন থানায় আসেন। তিনি ঘটনা খুলে বলেন। এ সময় তিনি ছেলেকে আত্মসমর্পণ করতে বললে বেলায়েত আত্মসমর্পণ করেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই৷ বেলায়েতের দেখানো মতে মাটির নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এবিষয়ে নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।